ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতীত ভুলে গেছেন সুজন!


গো নিউজ২৪ | স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০১৯, ১০:৫৬ এএম আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০১৯, ১১:২৩ এএম
অতীত ভুলে গেছেন সুজন!

টাইগারদের সাবেক দলনেতা  খালেদ মাহমুদ সুজন অতীতকে ভুলতে বেশি সময় নেন না।সেটা ফের বুঝালেন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মিরপুরে।২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় খুব কাছে গিয়ে হেরেছে সুজনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। হারের পর চোখের জল মুছতে মুছেতে মাঠ ছেড়েছিলেন যেই সুজন, সেই সুজনের কাছে ভালো লাগনি পেসার তাসকিন আহমেদের চোখের জল।

মাশরাফিদের সাথে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে হৃদয় ভেঙেছে তাসকিনের। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি জাতীয় দলের এই পেসার। হয়ত বলতে পারেন, ম্যাচ হারা আর দল থেকে বাদ পড়া কি এক? অবশ্যই এক না। দিন শেষে একজন ক্রিকেটারের লালিত স্বপ্ন থাকে বিশ্ব আসরের খেলার।তাসকিনেরও তাই ছিল।

গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। সে দলে জায়গা হয়নি তাসকিন আহমেদের। এমনকি হয়নি আয়ারল্যান্ড সিরিজেও। দল ঘোষণার মিনিট ৩০ পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় প্রতিক্রিয়া। কেঁদে দিয়েছেন তাসকিন। হৃদয় ভাঙার ধাক্কাটা কি এতো অল্প সময়ে ভোলা যায়? ২০১১ সালে কান্না লুকাতে পারেননি যে মাশরাফি বিন মুর্তজাও।

অথচ তাসকিনের কান্নাই পছন্দ হলো না সুজনের।রীতিমতো তোপ দাগিয়েছেন, ‘একটা খেলোয়াড়ের মন খারাপ থাকবে? আমি খুব কাছের মানুষের সাথে বিষয় গুলো শেয়ার করব। কাছের মানুষ বলতে আমার বাবা, মা, বন্ধু, পরিবার যারা খুব কাছের। কিন্তু এটা জনসম্মুখে আসা ঠিক না। আমি সবসময় তাসকিনকে অন্য চোখে দেখি, খুব ছোট থেকে তাসকিনকে দেখে এসেছি। আমার কাছে ভালো লাগেনি।’

ভালো না লাগাতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি সুজন। প্রশ্ন তুলেছেন তার বড় হওয়া নিয়েও, ‘সে বড় হচ্ছে। সে ১৯ বছরের ছোট নয়। খেলোয়াড়দের খারাপ সময় যাবে, ভালো হবে।’ বিশেষকরে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনা পছন্দ হয়নি সুজনের, ‘যেভাবে এটা মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে আমি মনে করি এটা যে কোনো জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের জন্য অসম্মানের। এটা শিশুসুলভ আচরণ। মানসিক দিক থেকে আমাদের শক্তিশালী হতে হবে।’

এবার চোখ বুলিয়ে আসি সুজনের সেই কান্নার স্থান থেকে।২০০৩ সালের কথা। তখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রথমবারের মতো  পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই টেস্টে সহজেই জয় পায় পাকিস্তান। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। বলা যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল টাইগাররা। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন ইনজামাম-উল হক। হৃদয় ভাঙার গল্প তো সেই থেকে শুরু।

পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর এক ভদ্রলোককে প্যান্টের পেছনে ঝুলিয়ে রাখা সাদা রুমালে চোখ মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে। যে ছবি টাইগার সমর্থকদের হৃদয়ে গাঁথা। সে ভদ্রলোক আর কেউ নয়। অধিনায়ক সুজন। ২৬১ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১৬৪ রানেই ৭ উইকেট ফেলে দিয়ে ছিল তার দল। কি দুর্দান্ত বোলিংই না করেছিলেন সুজন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি।

২০০৩ সালে চোখের জল মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়ছেন সুজন

শুধু সজন নন, ম্যাচ হেরে কেঁদেছেন আরো অনেকে।মুশফিক, সাকিব এবং নাছিররা খেলার মাঠে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেও কেঁদেছেন।হৃদয় ভাঙলে কেই-বা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? 

আর সব কথাই বাদ। সুজন তো ম্যাচ থেকে হারার পরও কান্না পছন্দ করেন না। এদিন বললেনও অকপটে, ‘আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলি। এখানে তো অনেক কঠিন অবস্থা আসবে, এখানে যদি আপনি হেরে কাঁদেন তাহলে কঠিন। কঠিন অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ অথচ মাত্র ১৬ বছরেই মুলতানের স্মৃতি ভুলে গেছেন সুজন।

গোনিউজ২৪/এএস

মতামত বিভাগের আরো খবর
নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ