ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সফল রাজনৈতিক নেতার প্রতিচ্ছবি ড. আব্দুস শহীদ এমপি


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৮, ১০:৪৮ পিএম আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০১৮, ১০:৫৩ পিএম
সফল রাজনৈতিক নেতার প্রতিচ্ছবি ড. আব্দুস শহীদ এমপি

জনপ্রিয়তা মানুষের একটি বিশেষ গুণ। সমাজের সব মানুষ জনপ্রিয় হতে পারেনা। মনবিজ্ঞানী ডেল কার্নেগী তার ‘প্রতিপত্তি ও বন্ধুলাভ’ গ্রন্থে লিখেছেন জনপ্রিয় হতে হলে মানুষের বিশেষ কয়েকটি গুণ স্বভাবগতভাবে থাকতে হয় বা অর্জন করতে হয়। যেমন, মনোযোগ দিয়ে মানুষের কথা শুনতে হয়, কেবল নিজের বিষয় নিয়ে কথা না বলা, মানুষের সুখ-দুখে অংশগ্রহণ করা, অহেতুক তর্কযুদ্ধে না জড়ানো, গঠনমূলক সমালোচনা করা, অন্যের আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ করে দেয়া ইত্যাদি গুণ থাকলে একজন মানুষ জনপ্রিয় হয় কথাগুলো এ জন্যই উপস্থাপন করলাম যে, আজকে যাকে নিয়ে একটু আলোচনা সমালোচনা করতে চাই তিনি হচ্ছেন কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকার সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি। যার মধ্যে উক্ত গুণাবলির অধিকাংশই বিদ্যমান আর এ কারণেই তিনি সমাজে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ধনী-দরিদ্র সকল স্তরের মানুষের কাছে হয়ে ওঠেছেন সমান জনপ্রিয়।

সমাজে দেখা যায় একজন আদর্শ কৃষক, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী স্ব স্ব বিষয়ে পারদর্শী। তার পেশা ব্যতীত অন্য বিষয়ে একেবারে আনকোড়া। মনবিজ্ঞান বলে জীবনে চলার পথে সকল বিষয়েই দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এম পি সাহেবের জীবন চলার পথে শিক্ষকতা, রাজনীতি, সমাজনীতি, পরিবার, লেখাপড়া, শিক্ষার প্রচার-প্রসার এমনকি সময়ক্ষণে রান্নাবান্না প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আছে একটা পারঙ্গম দক্ষতা। বুদ্ধির বিচারে মানুষ দু-শ্রেণির, স্থুলবুদ্ধি ও সুক্ষ্মবুদ্ধি সম্পন্ন। আল্লাহর সৃষ্টিতে স্থুল বুদ্ধির মানুষের সংখ্যাই বেশি। সূক্ষ্মবুদ্ধির মানুষ খুবই বিরল এবং এরাই সমাজের করিতকর্মা পুরুষ। উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি তেমনই একজন মানুষ যার জীবনে চলার পথে শিক্ষা সংস্কৃতি রাজনীতি ক্রীড়া সমাজসেবা এমনকি সাংসারিক জীবনেও সূক্ষ্ম বুদ্ধির স্বাক্ষর রেখেছেন।

পিতৃতুল্য ড. আব্দুস শহীদ এম পি সাহেবের প্রসংশা করলে পরোক্ষভাবে নিজের উপরই এসে পড়ে তাই আমি তার গুণগান করবো না। মনীষী রুডিয়ার্ড ক্লিপিং বলেছেন--‘মানুষের প্রসংশার কিছু থাকলে তা আমরা এড়িয়ে চলি, আবার তারই নিন্দার কিছু পেলে মুখে খই ফুটাই। আমার বাবার বন্ধু, রাজনৈতিক সহকর্মী ও আমার প্রতিবেশী হিসাবে সেই কিশোর বয়স থেকেই পারিবারিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ এমপির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমার কাছে প্রায়ই মনে হয় তিনি একজন সফল অভিবাবক রাজনীতিবীদ, সমাজ হৈতষী সর্বোপরি একজন সফল স্বার্থক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি।    

ড. আব্দুস শহীদ এমপি

কারো করুণা নিয়ে জাতীয় নেতা হওয়ার কোনো মানেই হয়না। নিজের যোগ্যতা মেধা প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে উপাধ্যক্ষ ড, আব্দুস শহীদ এমপি মৌলভীবাজার -২৩৮ নং নির্বাচনী এলাকা শ্রীমঙ্গল -কমলগঞ্জ ৪ আসন থেকে ৫ বার নির্বাচিত হয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে হয়ে উঠেছেন ঐ অঞ্চলের গণমানুষের আস্থা বিশ্বাস আর ভালোবাসার প্রতীক। যা একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক জীবনে বিরাট সাফল্য। প্রিয় এই নেতা মন্ত্রিত্বের জন্য রাজনীতি করেন না, মন্ত্রী না হলে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব হবে না তা তিনি বিশ্বাস ও করেন না। উনার রাজনৈতিক ভিশন হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের শিক্ষা চিকিৎসা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনায়নে কাজ করা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ড, আব্দুস শহীদ এমপি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।  

প্রবাদ আছে পুরান চালে ভাত বাড়ে।  ড. আব্দুস শহীদ এমপির বেলায়ও তাই। মৌলভীবাজার জেলার এই কৃতি সন্তান বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ও পাঁচ বারের সফল নির্বাচিত সাংসদ। সভাপতি, সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিটি বাংলাদেশ সংসদ ও প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি বাংলাদেশ। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমলগঞ্জ - শ্রীমঙ্গল উপজেলার নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নের উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন যা এই অঞ্চলের মানুষের মুখকে উজ্জ্বল করেছে, প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশ বিদেশে।

১৯৯১ সালে তিনি প্রথম কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ড. আব্দুস শহীদ এমপি এলাকার একজন জনপ্রিয় জননেতা- বিশেষ করে গরীব ও মজুরি-আয়ের সদস্যদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে এই অঞ্চলে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি সরকার ও দলের হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২00৭ থেকে ২0১৪ ইং মেয়াদে বাংলাদেশ সংসদের চীফ হুইপ এবং বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ হিসাবে কাজ করেছেন।ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বছরের পর বছর ধরে তিনি সংসদীয় বিভিন্ন কমিটিতে যেমন- হাউস কমিটি, MDGs, WTO, PRSP এমডিজি, ডব্লিউটিও, পিএসএসপি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম জাতীয় চেম্বারের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও ছিলেন যেমন বিধিমালার বিধি, ব্যবসায়িক পরামর্শ, পাবলিক অ্যাকাউন্ট, বিদ্যুৎ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। ড ,আব্দুস শহীদ এমপি স্বচ্ছতা গণতন্ত্র সুশাসন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছেন একই সময়ে তিনি এইচআইভি / এইডসসহ রোগের প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছেন এবং মানব পাচারের মতো বিষয়গুলিও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি এইচআইভি, এইডস এবং মানব পাচার প্রতিরোধের উপর বাংলাদেশ পার্লামেন্ট সদস্য সহায়তা গ্রুপ (বি পিএমএসজি) এর ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। একজন শিক্ষানুরাগী হিসাবে শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা সর্বজন প্রশংসনীয়। শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন বেশকটি স্কুল ও কলেজ। বর্তমানে তিনি কমলগঞ্জের গন মহাবিদ্যায়লয়ের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডারিকা পল মহিলা কলেজ, প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডি চেয়ারম্যান আব্দুস শহীদ এমপি কলেজ, শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে

সদা সহাস্যমুখ এই সাংসদ শ্রীমঙ্গল -কমলগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার জনমানুষের জীবনমান উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। কাজ করেছেন নির্বাচনী এলাকায় রাস্থাঘাট, ব্রিজ কালবার্ট, বিদ্যুৎগ্যাস, স্কুল কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও এর মান উন্নয়নে। পাশাপাশি পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা,হাট বাজার, কৃষিকাজ উন্নয়ন, বুরো মৌসুমে সেচ ব্যবস্তাসহ সার ও বীজের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরন বিগত দিন থেকে শুরু করে আজ অবধি তার রুটিন কাজ। শ্রীমঙ্গল -কমলগঞ্জ অঞ্চলে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি হাসপাতালের উন্নয়ন কাজ করেছেন। খেলাধুলায় অনেক দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছেন যা যুব সমাজের কাছে প্রশংসনীয়। চা শিল্পের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জে শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিতে তার ভূমিকা দৃশ্যমান যা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে প্রসংসনীয়। এই অঞ্চলে হোটেল মোটেল রেস্টুরেন্টসহ অফিস-আদালত কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কমলগঞ্জ- শ্রীমঙ্গলবাসীর কাছে উন্নয়নের সুষম বণ্টনসহ শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে পাহাড় গ্রাম শহরে দৃশ্যমান যে উন্নয়ন করেছেন তা দেশ-বিদেশের পর্যটক ভ্রমণ পিপাসুকে আকৃষ্ট করেছে। শ্রীমঙ্গলে চা- নিলাম কেন্দ্র স্থাপনসহ ব্যবসা বাণিজ্যের একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সর্বপরি চা -শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

ব্যক্তি পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন, দেশ বিদেশে তারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় ডিগ্রী নেওয়া ড. আব্দুস শহীদ এমপি মৌলভীবাজার জেলার মুন্সীবাজারের ছোট একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গলের গণমানুষের অবিসংবাদিত জননেতা। তিনি তার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলিতে একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে ছিলেন বিশেষভাবে পরিচিত ও প্রশংসিত। ক্রীড়াতে তার অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে blue ব্যাজ গ্রহণ করেন।

ড.আব্দুস শহীদ এমপি  ১/১১ এর সময় ফখরুদ্দিন - মঈনুউদ্দিন সরকার যখন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে তখন তিনি ইস্পাত কঠিন মনোবল নিয়ে নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে প্রথম সারিতে ছিলেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ছাত্রীদের ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৯ সনে ১১ দফা আন্দোলনসহ সবকটি আন্দোলন কর্মকান্ডে তার অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। প্রিয় এই নেতা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদাপূর্ণ শিরোনাম অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে কামলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

প্রতিভাবান এই শিক্ষক ১৯৯০ সালে মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষকের পদক লাভ করেন। শিক্ষক থাকাকালীন সময় তিনি অনেক স্থানীয় ও জাতীয় শিক্ষা সামাজিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন আজও আছেন। তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জীবন সদস্য এবং সদস্য ফর বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্যা ব্লাইন্ড।

ড. আব্দুস শহীদ এমপি দলীয় সরকারী উদ্যোগ সরকারের ও দলের পক্ষে এযাবৎ প্রশিক্ষণসহ প্রতিনিধিত্ব করেছেন মার্কিন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সুইজারল্যান্ড, ভারত, কানাডা, তুরস্ক, জার্মানি ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ৩০টিরও বেশি দেশে যা তাকে বহিঃর্বিশ্ব সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং সরকারের প্রয়োজনে আগামীতে বিশেষ দায়িত্ব পালনে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে বলে মনে করেন অনেকে। একটি উদাহরণ দিতে চাচ্ছি --বৃটেন ইউরোপী ইউনিয়নে থাকা না থাকার পক্ষে বিপক্ষে বেক্সীট ইস্যু নিয়ে ড, আব্দুস এমপি প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশে সরকারের পক্ষে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এবং পার্লামেন্টের বাহিরে বৃটিশ এমপি অফিসিসিয়ালদের উপস্থিতিতে তার প্রাণবন্ত বেক্সীট আলোচনা শুধু আমাকে না-অনেক বৃটিশ এমপি ও কমিনিটি নেতৃবৃন্দকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমার সুযোগ হয়েছিল প্রতিটি আলোচনায় তার সাথে অংশগ্রহণের। যা বলতে চাই আব্দুস শহীদ এমপি একজন স্মার্ট আত্তবিশ্বাসী দক্ষ অভিজ্ঞ একাডেমিক যোগত্যা সম্পন্ন নেতা।

পর্যটন নগরীর সাজে সজ্জিত  কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু চাহিদার শেষ নেই। আমাদের আরো অনেক উন্নয়ন চাই যা প্রিয় এই নেতা অবগত আছেন। সরকার বা স্থানীয় এমপির কাছে নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের দাবি দাওয়া থাকবে এটা একটি উন্নয়ন প্রক্রিয়া। ড.আব্দুস শহীদ এমপি এই অঞ্চলের রাজনৈতিক আবহাওয়া, অর্থনীতি, সমাজনীতি কমিউনিটি উন্নয়ন সম্ভাবনা আগামীর কর্ম পরিকল্পনা মাতিয়ে রেখেই কাজ করে যাচ্ছেন। উনার গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনী এলাকার আপামর জনসাধারণের সহযোগিতা আশা করেন। বিশ্বাস করেন এই অঞ্চলকে নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একটি আকর্ষণীয় নান্দনিক অঞ্চল হিসাবে সারা দেশে পরিচিত করিয়ে দিতে  সক্ষম হবেন।         

দেশ ও বহির্বিশ্বে সমান জনপ্রিয় প্রিয় এই প্রবীণ নেতা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে সম্মানিত ও সমাদৃত। অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে ড.আব্দুস শহীদ এমপি তৈরি করে নিয়েছেন নিজের একটি ডায়নামিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডল যা তিনি শুরু করেছিলেন একজন ছাত্র নেতা হিসেবে। একজন প্রতিভাবান ছাত্রনেতা থেকে স্বল্প সময়েই আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আবির্ভূত হন এবং পরবর্তীতে এই অঞ্চলের পার্টির একজন বিশিষ্ট নেতা হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে তারই যোগ্য মেয়ে বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল ও সরকারের একজন নিবেদিত দূত হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাহার নির্বাচনী এলাকার অপেক্ষারত জনসাধারণ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আস্থাবান বিশ্বস্ত ড. আব্দুস শহীদ এমপিকে শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ - ৪ আসনে এমপি হিসেবে আবারো নির্বাচিত করতে চায়। এই অঞ্চলের জনসাধারণ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ এমপির এযাবৎ অর্জিত সাফল্য অভিজ্ঞতা প্রজ্ঞা রাজনৈতিক দূরদর্শিতাও সরকারের প্রতিনিধি হয়ে বহির্বিশ্বে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করত: যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বধীন আগামী সরকারে উনার দায়িত্ব ভূমিকা কি হবে প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নিবেন।
      
শেষ করতে হবে, শেষ করতে চাই –চার্লস ডি গল এর একটি উক্তি টেনে “একজন সত্যিকারের নেতা সব সময় ই একটি চমক রেখে দেন যা অন্যরা বুঝে উঠতে পারে না, কিন্তু তা ঠিকই জনসাধারণের আকৃষ্ট করে থাকে”  ড. আব্দুস শহীদ এমপি শেষ নিঃশ্বাসে ও তার স্বপ্নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন কমলগঞ্জ শ্রীমঙ্গলের গণমানুষের কাছে। কারণ রাজনীতি সমাজনীতি সামগ্রিক উন্নয়নে তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে -দুর্নীতি শোষণমুক্ত অর্থনীতিতে স্বনির্ভর সোনার বাংলাদেশ গড়া। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সরকারের গৃহীত কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন। সর্বপরি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশপ্রেমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এমন একটি সুষম সমাজ দেশ জাতি প্রতিষ্ঠা পাক যা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

নজরুল ইসলাম
সেক্রেটারি ,বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি যুক্তরাজ্য।
সাংগঠনিক সম্পাদক, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামীলীগ যুক্তরাজ্য

গোনিউজ২৪/এআরএম

মতামত বিভাগের আরো খবর
নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ