তুরস্ককে সেনাঘাঁটি করতে দেবে না সৌদি আরব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৭, ১০:৫৯ এএম
তুরস্ককে সেনাঘাঁটি করতে দেবে না সৌদি আরব

সৌদি আরবে সেনাঘাঁটি স্থাপন করতে তুরস্কের পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির প্রশাসন। আঙ্কারাকে সৌদি সরকার তার ভূখণ্ডে এ ধরনের কোনও ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেবে না বলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

শনিবার সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, যেহেতু ‘সৌদি আরবের সেনাবাহিনী এবং সামরিক সক্ষমতা সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে’, তাই প্রতিবেশী কাতারে নির্মিত সেনাঘাঁটির মতো একই ধরনের কোনও ঘাঁটি সৌদি রাজত্বে অনুমোদন দেয়া হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এসপিএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সৌদি আরব তার ভূখণ্ডে তুরস্ককে কোনও সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করার অনুমোদন দেবে না।’ সৌদি সেনাবাহিনীই তুরস্কের ইনকিরলিক ঘাঁটি থেকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।

এর আগে পর্তুগালের গণমাধ্যম আরটিপিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানান, ২০১৪ সালে কাতারে সেনাঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরুর কিছুদিন পরই একই ধরনের ঘাঁটি নির্মাণে সৌদি আরবকে প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক।

তিনি বলেন, ‘আমি বাদশা সালমানকে একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছি। বলেছি, এটা যদি ঠিক হয় তবে সৌদি আরবেও আমরা একটি সেনাঘাঁটি নির্মাণ করতে পারি। বিষয়টি ভেবে দেখার কথা জানিয়েছিলেন তারা। অবশ্য এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি।’

গত সপ্তাহে কাতারে নির্মিত সেনাঘাঁটিতে সেনা মোতায়নে একটি বিলে অনুমোদন দেয় তুরস্কের পার্লামেন্ট। কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর চলমান কূটনৈতিক সংকট নিরসনে প্রধান ভূমিকায় আছে তুরস্ক। এছাড়া বর্তমানে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কুয়েত এবং পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।

এর আগে গত ৫ জুন মুসলিম ব্রাদারহুডসহ কিছু সংগঠনকে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর। যদিও আরব রাষ্ট্রগুলোর অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে দোহা। ওইসব দেশের বক্তব্য, ব্রাদারহুড ‘চরমপন্থি’ সংগঠন।

আরব দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, কাতার ইসলামপন্থিদের সহায়তার দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখিয়ে আসছে দেশগুলো। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। ব্রাদারহুড রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করে এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তাদের এই আদর্শকে হুমকি হিসেবে দেখে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো।

গো নিউজ২৪/ আরএস

এ সম্পর্কিত আরও সংবাদ


আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর