রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে যা করবেন


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৮, ০৮:০৪ পিএম
রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে যা করবেন

ঢাকা : পবিত্র মাহে রমজান আসলেই আমাদের খাদ্যভাস পরিবর্তন হয়। যে কারণে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। মূলত অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মাংস জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, পানি কম খাওয়া কিংবা আঁশ জাতীয় খাবার কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। কিছু নিয়ম মেনে খাবার ও পানাহার করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেলা আখতার জানিয়েছেন রোজায় কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকা যায়।

রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ কি কি খাবার গ্রহণ করা উচিত ? 

ডা. সোহেলা আখতার : রমজান মাস আসলে আমাদের খাদ্য অভ্যাস অনেক পরিবর্তন হয়। যে কারণে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এ থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি সবজি খাওয়া যেতে পারে।  সবজিতে প্রচুর স্বাস্থ্যকর ফাইবার থাকে। পুদিনা, লেটুস, মটরশুঁটি, ছোলা ও মটরের মত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন আপনার ডায়েটে। এগুলো মলকে নরম হতে এবং সহজে অন্ত্র দিয়ে বের হয়ে যেতে সাহায্য করবে। এছাড়া আপেল, কলা, পেঁপে, ডুমুর, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি ফলগুলো ফাইবারে সমৃদ্ধ বলে সেহরির সময় এগুলো খেতে পারেন। এছাড়াও সারাদিনে হাইড্রেটেড থাকতেও সাহায্য করবে এই ফলগুলো।

রমজানে আলাদা কোন খাবার গ্রহণ করতে হবে?

ডা. সোহেলা আখতার : তাদের জন্য আলাদা কোন খাবার রাখতে হবে এমন না। তবে ভাঁজা পোড়া একটু কম খেতে হবে। ওটস, গম, মসূর ডাল, ফ্ল্যাক্স সিডস ইত্যাদি খাবারগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ এগুলো আস্তে আস্তে হজম হয়। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এছাড়া মাছ ও মুরগী খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে কম চর্বি থাকলেও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। এটা শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে তৈরি হতে সাহায্য করে। তা ছাড়া বেশি করে পানি পান করার পাশাপাশি ফলের রস পান করতে হবে। কচি ডাবের পানি, তরমুজ, কমলা, আঙ্গুর এবং আনারস এর জুস পান করুন।

সেহেরিতে কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করা ভালো?

ডা. সোহেলা আখতার : পরিমাণ মতো সেহেরি খেয়ে দুই থেকে চারটা খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা ছাড়াও রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মাথা ঘুরানো প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এছাড়া এককাপ দই খাওয়া যেতে পারে।


গো নিউজ২৪/আই

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর