মনীশের ঝড়ের পর চেন্নাইয়ের ‘বুড়ো’ ক্রিকেটারের টর্নেডো


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ০৯:৪০ এএম
মনীশের ঝড়ের পর চেন্নাইয়ের ‘বুড়ো’ ক্রিকেটারের টর্নেডো

ডেভিড ওয়ার্নার ও মনীষ পাণ্ডে ভিত গড়ে দেন শক্তপোক্ত। কালবৈশাখীর মতো দমকা ঝড়ে এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে পাণ্ডে। যার মিলিত ফল,চেন্নাই সুপার কিংসকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮ বছরের শেন ওয়াটসন যেন টর্নেডোর ভূমিকায়।৫৩ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ‘বুড়ো ক্রিকেটার।আর তাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ধোনির চেন্নাই।সাথে প্লে-অফ-ও নিশ্চত।

চিপকের বাইশগজে ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস শুরুতেই ফ্যাফ ডু’প্লেসির উইকেট হারায়।কিন্তু ওয়াটসনের দুরন্ত ইনিংসে ম্যাচ জিতে নেয় সুপার কিংস।৫৩ বলে ৯৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ওয়াটসন।৬ ছক্কা ও ৯টি চার মারেন তিনি। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় সিএসকে ওপেনারের। ভুবনেশ্বরের বলে উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ওয়াটসনকে ডাগ-আউটে ফেরান জনি বেয়ারস্টো।

ওয়াটসন যখন আউট হয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন, তখন চেন্নাইয়ের জয় হাতের মুঠোয়।সেখান থেকেও অবশ্য ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান অম্বাতি রায়ডু ও কেদার যাদব। শেষ ওভারে ধোনিদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান।সন্দীপ শর্মার ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন কেদার। চতুর্থ ডেলিভারিতে রায়ডু আউট হলেও এক বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।

এদিন টস জিতে এদিন সানরাইজার্সকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মে থাকা জনি বেয়ারস্টোয়ের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। ব্যক্তিগত ০ রানে হরভজন সিংয়ের বলে ডাগ-আউটে ফেরন বেয়ারস্টো। কিন্তু শাহবাজ নাদিমের পরিবর্তে এদিন দলে ঢোকা মনীশ পান্ডে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে চেন্নাইকে পালটা চাপে রাখে।প্রথম বলেই ভাজ্জিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে খাতা খোলেন মনীশ।ওয়ার্নারের থেকে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মনীশ। আইপিএলে এটি ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি কর্নাটকের এই ডানহাতি। 

মনীশ ও ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে ১১ ওভারেই সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যায় সিএসকে।দ্বিতীয় উইকেটে ১১৫ রান যোগ করে ভাজ্জির শিকার হন ওয়ার্নার।তবে ডাগ-আউটে ফেরার আগে ৪৫ বলে দু’টি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন সানরাইজার্সের এই বাঁ-হাতি।

ওয়ার্নার সাজঘরে ফিরলেও ব্যক্তিগত ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন মনীশ। ৪৯ বলের ইনিংসে তিনটি ছয় ও সাতটি বাউন্ডারি মারেন তিনি।বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাইরে থাকার পর এদিন দারুণ প্রত্যাবর্তন করেন মনীশ।তবে ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ২০ বলে ২৬ রান করেন বিজয় শংকর। তবে ১১তম ওভারে শতরানের গণ্ডি টপকানোর পর দু’শোর গণ্ডি টপকানোর সম্ভাবনা ছিল সানরাইজার্সের। কিন্তু শেষ দিকে সিএসকে বোলাররা ভালো বোলিং করায় ১৭৫ রানে থেমে যায় হায়দরাবাদ।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ওয়াটসন। ৯৬ রানের ইনিংস খেলে টি-২০ ক্রিকেটে এদিন ৮ হাজার রানের গণ্ডি টপকে যান ওয়াটো।কিন্তু তৃতীয় ওভারে ডু’প্লেসি রান-আউট হয়ে ডাগ-আউটে ফিরলেও ওয়াটসন ও সুরেশ রায়নার ব্যাটে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে সিএসকে। সন্দীপ শর্মার এক ওভারে পাঁচটি বাউন্ডারি মারেন রায়না। ২৪ বলে ৩৮ রান করে রশিদ খানের বলে ডাগ-আউটে ফেরেন রায়না। চেন্নাইের কাছে হেরে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই থাকল সানরাইজার্স।

গোনিউজ২৪/এএস

 

খেলা বিভাগের আরো খবর