ট্রোন্স তাসমান সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়া একক আধিপত্য বিস্তার করে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। প্রথম পর্বে ৪ দেখায় অজিদের জয় ৪। অবশেষে শেষ দেখায় অর্থাৎ ফাইনালেও ওয়ার্নারদের কেউ থামাতে পারেনি। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অকল্যান্ডে প্রথমে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করে অজিদের লক্ষ্য দেয় ১৫১ রানের। জবাবে ১৪ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২১রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টি বাধায় খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। ফলে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অস্ট্রেয়িাকে জয়ী ঘোষণা করে আম্পায়াররা। নিয়ম অনুযায়ী ১৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড় অজিরা।
অজিদের সাথে আগের দেখায় ২৪৩ রান করা নিউজিল্যান্ডকে আজ পাওয়া গেল না। ফাইনালে সেই অকল্যান্ডেই টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিল দিুই কিউই ওপেনার মুনরো ও গাপটিল। ৪.৩ ওভারে তাদের জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ১৫ বলে ২১ রান করে গাপটিল বিদায় নিলেও মুনরো ঝড় অব্যহত থাকে। তবে এদিন আর মুনরোকে বেশি এগোতে দেয়নি রিচার্ডসন। ১৪ বলে দুই ছক্কা ও ৩ চারে ২৯ রান করে এগ্যারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন মুনরো।
মুনরোর বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। অজি স্পিনার অ্যাগারের বোলিং তোপে মাত্র ১১০ রানেই ৮ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
এরপর শোদিকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে অবিজ্ঞ টেইলর। টেইলরের ৩৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৫০ রান।
জবাব দিতে নেমে দলনেতাকে দ্রুত হারালেও সহজে তা সামল দেন এই নিউজিল্যান্ডের সাথে চলমান সিরিজে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি ডি আরসি শর্ট। তিনি তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। আর সেখানেই তিনি তার দায়িত্ব শেষ করেন। মুনরোর বলে চ্যাপম্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি সাজঘরে ফিরেন।
এরপর ম্যাক্সওয়েল ২র০ রান এবং ফ্রিঞ্চ ১৮ রান করে। পরে বৃষ্টির কারণে আর মাঠে গড়ায়নি খেলা। ফলে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অস্ট্রেয়িাকে জয়ী ঘোষণা করে আম্পায়াররা। নিয়ম অনুযায়ী ১৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড় অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাগার ৩টি, টাই ও রিচার্ডসন ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া বিলি স্টানলেক নেন ১টি উইকেট।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মুনরো, ইশ সোধি ও মিচেল স্যান্টনার।
গোনিউজ২৪/এএস