অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আলোচিত যত ঘটনা


স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮, ০৪:৪২ পিএম
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আলোচিত যত ঘটনা

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়া হিসেবে পরিচিত টেনিস। লন টেনিস নামেও বিশ্বের অনেক দেশে এ খেলার পরিচিতি রয়েছে। তবে ভারতীয় উপমাহাদেশে এই খেলার জনপ্রিয়তা খুবই কম। অস্ট্রেলিয়া ও উইরোপে এই খেলার প্রচুর জনপ্রিয়তা। এবং বিশ্বর অন্যতম দামী খেলার একটি টেনিস।

টেনিসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম রজার ফেডেরার সাড়ে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন সিঙ্গলস খেতাব জিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন। টেনিসের ‘বুড়ো’ রজার ফেদেরার ঠিকই ক্যারিয়ারের কুড়িতম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিয়েছেন। উইম্বলেডন চ্যাম্পিয়নশীপ, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেন - টেনিসের চারটি বড় প্রতিযোগিতা। এ প্রত্যেক প্রতিযোগিতাই গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা নামে পরিচিত। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মজার সব ঘটনা জানাতেই আজকের এ আয়োজন...

ঘাসের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হয় হার্ড কোর্টে। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শুরুটা ছিল সবুজ ঘাসে। বর্তমানের হার্ড কোর্টের সূচনা ১৯৮৮ সাল থেকে। সবুজ ঘাসটা শক্ত হতে ৮৩ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। তবে আর সবুজটা নীল হয়েছে ২০০৭ সালে।

ঘাস ও হার্ড—দুই ক্ষেত্রেই রাজা
১৯৮৮ সালে ঘাস থেকে হার্ড, এক বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই গেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আর এর মাঝে এক রেকর্ডের ভাগীদার হয়ে গেছেন সাতবারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ম্যাটস উইল্যান্ডার। এই সুইডিশই একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ঘাস ও হার্ড কোর্টে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফি জিতেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার বাইরেও হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
নামে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হলেও দুবার কিন্তু নিউজিল্যান্ডেও হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। ১৯০৬ সালে ক্রাইস্টচার্চ ও ১৯১২ সালে হেস্টিংসের কোর্টে হয়েছিল এই গ্র্যান্ড স্লাম। এ ছাড়া আরও ৫টি শহরে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। অ্যাডিলেডে ১৭ বার, সিডনিতে ১৪ বার, ব্রিসবেনে সাতবার আর পার্থে তিনবার। শেষমেশ ১৯৫৫ সালে মেলবোর্নকেই বেছে নেওয়া হয় ভেন্যু হিসেবে।

বাচ্চা-বুড়ো সবই এক
কেন রোজওয়েল। অবাক হলেও সত্যি, একসঙ্গে দুই রেকর্ডের ভাগীদার। হল অব ফেমে থাকা আটবারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী অস্ট্রেলিয়ান কেন রোজওয়েল ১৯৫৩ সালে প্রথম ১৮ বছর ২ মাস বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতেন। শেষবার জেতেন ১৯৭২ সালে। সেবার তাঁর বয়স ছিল ৩৭ বছর ২ মাস।

হ্যাটট্রিক
তিনবার গ্র্যান্ড স্লাম জেতাই যেখানে ভাগ্যের ব্যাপার, সেখানে টানা তিনবার জেতা! এই রেকর্ডের ভাগীদার তিনজন। তিনজনই অবশ্য নারী। উন্মুক্ত যুগে স্টেফি গ্রাফ (১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০), মনিকা সেলেস (১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৩) ও মার্টিনা হিঙ্গিস (১৯৯৭, ১৯৯৮, ১৯৯৯) পেরেছেন এই কীর্তি গড়তে।

আসল ‘বুড়ো’
সবচেয়ে বেশি বয়সে ট্রফি জয়ের রেকর্ডটা অবশ্য কেন রোজওয়েলের নয়। হোরাস রাইস নামের এক ভদ্রলোক ১৯২৭ সালে ৫২ বছর বয়সে জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফি। মিলিত দ্বৈত খেলায় ২৭ বছর বয়সী ল্যান্স হার্পারকে নিয়ে ট্রফি জেতেন রাইস।

ক্রিকেট মাঠে টেনিস
প্রধান অতিথি যেমন সবার শেষে আসেন, তেমনি সেরা চমকটাও সবার শেষে এল। টেনিস প্রতিযোগিতা হিসেবে যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন করার কথা হচ্ছিল, তখন মাঠ পাওয়া যাচ্ছিল না। আবার ঘাসও দরকার, অগত্যা বেছে নিতে হয় ক্রিকেট মাঠ। সেই সময় ১৭ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বরের প্রতিযোগিতা হয় ওয়ারহাউজম্যান ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। তবে সেটা এখন ক্রিকেট মাঠ নেই, বর্তমানে তা আলবার্ট রিজার্ভ টেনিস গ্রাউন্ড নামে পরিচিত।
গোনিউজ/টিআই

 

খেলা বিভাগের আরো খবর