তরুণদের রাজ্জাক-তুষারকে অনুকরণ করা উচিৎ :মাশরাফী


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০৮:১৩ পিএম
তরুণদের রাজ্জাক-তুষারকে অনুকরণ করা উচিৎ :মাশরাফী

রঙিন জার্সিতে জাতীয় দলে দেখার কোনো সম্ভাবনা নেই রাজ্জাক-তুষারকে।তবে তারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলছেন দাপটের সাথে।প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করেছেন তুষার ইমরান। অন্যদিকে একই ফর্মেটে ৫০০ উইকেট শিকারের অনন্য কৃর্তী গড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ৩৫ এবং ৩৪ বছর বয়সেও ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত প্রাণ তারা।যে কারণে তাদের অনুকরণের জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মুর্তজা।

বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তুষারা। চলতি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) তার কীর্তি ছোয়ার কদিন পরই ৫০০ উইকেটের গর্বিত মালিক হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলার সংবাদ সম্মেলন কক্ষে মাশরাফী এসছেন  শুক্রবারের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে বলতে, সেখানে বলতে হল রাজ্জাক-তুষারকে নিয়েও। এত অবদান রাখার পর তাদের কতটুকু সম্মান দেয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে।

‘খেলোয়াড়দের থেকে বলেন, অবশ্যই পাচ্ছে। একটু আগে বাসে আসার সময়ও আমরা তাদের নিয়ে কথা বলছিলাম। তুষার ১০ হাজার রান করেছে, রাজ্জাক ৫০০ উইকেট পেয়েছে। তাদের যে সম্মানটা মন থেকে দেয়া দরকার, খেলোয়াড়দের দিক থেকে দেয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বললেই আপনারা পরিষ্কার হবেন। আপনাদেরও কিছুটা দায়িত্ব থাকেই। যে বয়সে এসেছে, তাতে মনে করি না তাদের সামর্থ্য নেই। তাদের বয়স ৩৬-৩৭, কিন্তু এখনো ক্লাবের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। যে নিবেদন নিয়ে খেলে যাচ্ছে সেটা অনেক বড়, তাদের অনুসরণ করা উচিত। তাদের থেকে নতুন বা ইমার্জিং খেলোয়াড়দের অনেক কিছু শেখার আছে।’

সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাশরাফীরা তারকা খ্যাতি পাওয়ায় উঠতি ক্রিকেটারদের অনেকেই রোল মডেল হিসেবে তাদের নেন। যারা সাকিব-তামিম হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের উদ্দেশ্যে মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা থাকে, সাকিব-তামিম-মাশরাফী-মুশফিকরা কী বলছে, কি করছে সেটা ফলো করা। আমি মনে করি তাদের (রাজ্জাক-তুষার) কাছ থেকে শিখে এসে এখানে খেলা উচিত। ক্রিকেট নিয়ে ডেডিকেশন থাকলে কী করা যায়। ফার্স্ট ক্লাসে ৫০০ বা ১০ হাজার কোনো হেলাফেলা নয়। এটা আসলেই করে ফেলবে এমন কিছু নয়। সেজন্য তাদের ১৭-১৮ বছর খেলতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব না।’

‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই সব নয়। সুস্থ থেকে তারা এতদিন খেলে গেছে, তাদের যে সম্মানটা দেয়া দরকার খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে আমরা দিতে চাই এবং দিচ্ছি। হয়ত আনুষ্ঠানিক কিছু সম্ভব হয়নি। সবসময় তাদের নিয়ে আলোচনা হয়। ফার্স্ট ক্লাস যারা নতুন খেলছে, তারা তাদের অনুসরণ করবে। চার-পাঁচ হাজার রান করলে বুঝতে পারবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপটা কী জিনিস। নতুনরা যেন মাঠে গিয়ে ওদের মানসিকতা নিয়ে খেলে।’

গোনিউজ২৪/এএস

খেলা বিভাগের আরো খবর