রিয়াল বনাম পিএসজি: ভিন্ন দুই গ্রহের লড়াই


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৩:০০ পিএম
রিয়াল বনাম পিএসজি: ভিন্ন দুই গ্রহের লড়াই

একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইউরোপের দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি । যদিও তারা একই সূর্যের আলোর নিচে থাকে,  তারপরও তাদের বসবাস ভিন্ন দুই গ্রহের বহু দূরত্বে। সংখ্যা অথবা পরিসংখ্যান যাই বলেন, দুই দলের বর্তমান পারফরম্যান্সের মাঝে পার্থক্যটা যোজন যোজন। আসছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সান্তিয়াগো বার্নাবুয়েতে মুখমুখি হবে নেইমারের পিএসজি আর রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ । পিএসজিতে রয়েছে ভয়াবহ আক্রমণ ভাগ, সাথে যোগ হয়েছে ত্রয়ী ফরোয়ার্ড, যা লস ব্ল্যাঙ্কোসদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


বিপরিত বাস্তবতা: 
চলতি (২০১৭/১৮) মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন লিগে ইতোমধ্যেই ৬ গোল করেছেন নেইমার। যদিও বর্তমানে লা লিগায় ধুকছে রিয়াল মাদ্রিদ। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান চারে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার চেয়ে তারা ১৯ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। অন্যদিকে নেইমারের পিএসজি লিগ ওয়ান শাসন করছে।  ফ্র্যান্স লিগ ওয়ানে পিএসজির পয়েন্ট ৫৩। মাত্র দুই ম্যাচ ড্র এবং এক ম্যাচে তার হেরেছে। এই পার্থক্য সুধু লা লিগায় প্রতিফলন হবেনা, এর প্রভাব পড়বে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়ও। গ্রুপ পর্বে পিএসজি ২৫ গোল করে সকল রেকর্ড ভেঙে ফেলে তারা। যা আগে বায়ার্ন মিউনিখের ছিল। অন্যদিকে মাদ্রিদ গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ ১৬তে যায়। এছাড়া তারা কাপ জয়ের প্রতিযোগিতায়ও পিছিয়ে রয়েছে। 



ত্রয়ীদের মধ্যে পার্থক্য:
যখন দুটি ক্লাবের মধ্যে পার্থক্যের কথ বলা হয়, তখন তাদের গোল বারের সামনে যে তিন জন খেলোয়ড় তাদের কথা সবার আগে চলে আসে। 
রিয়ালের রয়েছে ‘বিবিসি’ আর পিএসজির আছে ‘এমসিএন’। এদের মধ্যে বিবিসি হলো বেল, বেনজেমা এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর এমসিএন হলো এম্বাপে, কাভানি এবং নেইমার। যাদের বাতর্মান পারফর্মেন্সও অনেক পার্থক্য রয়েছে।  সব মিলিয়ে, ৩৩ ম্যাচে খেলে বিবিসি করেছে ২৮ গোল সাথে অ্যাসিস্ট ১১টি। আর এসসিএন করেছে ৫৯ গোল যাদের অ্যাসিস্ট হলো ৩১টি। পার্থক্যটা কেমন তা এখান থেকেই বুঝা যায়।

দলবদল এবং একাদশের পার্থক্য:
এখানে দুই দলের মধ্যে রয়েছে বিশাল পাথর্ক্য। পিএসজি ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সবচেয়ে দামে দু্ই খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ায়। সেই নেইমার এবং এম্বাপেই বর্তমানে প্যারিস শাসন করছেন। এর সাথে আছেন দানি আলভেজ, যা তাদেরকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এমনটা রিয়াল মাদ্রিদে ঘটেনি। 
তাদের একজন নতুন খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়া গেছে যে স্থায়ী ভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে চলছে এবং শেষ মৌসুম থেকে একই একাদশ ব্যবহার করছেন।  


পিএসজির দলবদল নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হবে, তার অনেক ভাল মানের খেলোয়াড় দলে নিয়েছে যেমন ডি মারিয়া, লূকাস মৌরা এবং ড্রেক্সলার ইত্যাদি। কিন্ত তাদের সর্বোচ্চ শক্তির প্রমাণ এখনও ‍দিতে পারেনি। আর রিয়াল মাদ্রিদ সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে মূলত, মোরাতা, রদ্রিগেজ, পেপ এবং দানিলো যাওয়ার পর থেকেই। 

ড্রেসিং রুমের পরিবেশের পার্থক্য:
পিএসজির সব কিছু শান্ত এবং দু:চিন্তাহীন। শুধুমাত্র কয়েকদিন আগে নেইমার আর কাভানির মধ্যের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব এবং আরেকটি বির্তক শুরু হয় উরুগুয়ান তারকা কাভানি আর জাভিয়ার পাস্তোর মধ্যে। যা এখন আর নেই। নেইমার এবং তার সতীর্থরা সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্থ এবং উচ্চ লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন লিগে। কিন্তু মাদ্রিদ শিবিরে চলছে অশান্তি। তারা এখন হতাশার মধ্যে ডুবছে। আসছে চ্যাম্পিয়ন লিগে তাদের দরকার উদ্যমী শক্তির আর তা যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল তাদের জন্য। 

গোনিউজ২৪/এমএফ   

খেলা বিভাগের আরো খবর