২ রানেই অলআউট


স্পোর্টস ডেস্ক: প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০১৭, ০৪:২৩ পিএম
২ রানেই অলআউট

একদিনের ক্রিকেট মানে ৫০ ওভার করে ১০০ ওভারের খেলা। চোখ বন্ধ করে খেললেও সর্বনিন্ম ১০/২০ রান আসতে পারে এক ইনিংসে। তথ্য মতে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বনিম্ন স্কোর ৩৫। এর নিচে আর কত রানে অলআউট হওয়া সম্ভব? খুব কল্পনাপ্রবণ হলেও ২ রানের কথা কারও মাথায় আসা কষ্টকর। তবে বাস্তবেই একটি দল মাত্র ২ রানে অলআউট হয়েছে। 

একই সাথে বিস্ময়কর ও মজার এই ম্যাচটি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আয়োজিত বিসিসিআই নারী অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে লিগ এবং নকআউট টুর্নামেন্টে। শুক্রবার এই প্রতিযোগিতায় নাগাল্যান্ড এমন করুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কেরালার বিপক্ষে। 

প্রথমবারের মত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬টি রাজ্যে বিসিসিআই অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে বিসিসিআই। সেখান থেকে উঠে এসে ওয়ানডে লিগ ও নকআউট টুর্নামেন্ট খেলছে নাগাল্যান্ড।

প্রথমবারের মত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬টি রাজ্য- অরুনাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মনিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও সিকিম দেশটির আঞ্চলিক পর্যায়ের ক্রিকেট খেলছে। তাই দলগুলোর খেলায় অনেক উদ্ভট ঘটনাই ঘটেছে। 

সেখানকার একটি ম্যাচেই তো ১৩৬টি ওয়াইড দিয়েছিল দুই দলের বোলাররা মিলে। সেই ম্যাচের একটি দল ছিল এই নাগাল্যান্ড। অন্য দলটি মনিপুর। যদিও নাগাল্যান্ডের বোলাররা তুলনামূলক কম ওয়াইড দিয়েছিল, ৪২টি।

তবে কেরালার বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি সবকিছুই ছাড়িয়ে গেছে। ১৭ ওভার ব্যাট করেছে নাগাল্যান্ড। তাদের ৯ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছেন। একজন করেছেন এক রান, অন্য রানটি এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। অথচ ষষ্ঠ ওভারের শুরুতে তাদের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২ রান। 

সেখান থেকে ১১.৪ ওভারের ব্যবধানে সেই দুই রানেই অলআউট হয়ে যায় দলটি। কেরালা পাঁচ বোলারের চারজনই কোন রান দেননি। অ্যালিনা সুরেন্দ্রান একমাত্র বৈধ রানটি দিয়েছিলেন। কেরালার বোলার মিন্নু মনি চার ওভারের চারটিই মেডেন দিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন। তার বোলিং ফিগার ছিল ৪-৪-০-৪। 

ম্যাচটি জিততে মাত্র এক বলই লেগেছে কেরালার। এই টুর্নামেন্টে আগের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ছিল মেঘালয়ের, ১৭ রান। মজার ব্যাপার, এটি তারা করেছিল নাগাল্যান্ডেরই বিপক্ষে।

নাগাল্যান্ডের কোচ হোকাইতো ঝিমোমি বলেছেন টানা বৃষ্টি ও ইনডোর সুবিধা না থাকায় তার দলের মেয়েরা অনুশীলনের সুযোগ পাননি। এই বিপর্যয়ের পেছনে অন্যতম কারণ সেটা। 

এই ক্রিকেটাররা যে একদম নতুন তাই এমন অবস্থা বলেছেন আসামের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলা ঝিমোমি, 'আমাদের একেবারে গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছে কারণ প্রতিটা মেয়ে একেবারে কাঁচা। হ্যা, অনেক ফাঁকা আছে। তবে এটাও বুঝতে হবে যে মেয়েগুলো মাত্র ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে।'

তবে এই টুর্নামেন্টে এমন পারফরম্যান্স তার দলের জন্য বড় শিক্ষা বলে মনে করেন ঝিমোমি,‘খন মেয়েরা জানে তাদের অবস্থান, কোথায় তাদের উন্নতি করতে হবে। দলের মানসিকতার পরিবর্তন আসবে। সুপার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা, মুম্বাই-কেরালার মত দলের বিপক্ষে খেলা নাগাল্যান্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাইরে ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে সাহায্য করবে। আমাদের হার থেকে সবচেয়ে বড় অর্জন এটাই।’

গো নিউজ২৪/এসএম

খেলা বিভাগের আরো খবর