পাঁচ ম্যাচ সিরিজের সবক’টিতে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় ডুবালো পাকিস্তান।
রোববারের (২৩ অক্টোবর) সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাটিং করে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে খেলতে নেমে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান।
এদিন শারজাহ স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তাদরে ব্যাটসম্যানদের ওপর জমদূত হিসেবে আগমন হয় উসমান খান। অভিষেকের পরের ম্যাচেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তিনি। ৭ ওভার বোলিং করে ৩৫ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। এদিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন উসমান। ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড করে সামারাবিক্রমাকে। পরের বলে সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরারন দিনেশ চান্দিমালকে। দুজনই মেরেছেন ডাক!
তৃতীয় ওভারে উসমানের হ্যাটট্রিক বলটা চার হাঁকিয়েছিলেন উপুল থারাঙ্গা। তবে এক বল পরই শ্রীলঙ্কান অধিনায়ককে বোল্ড করেন উসমান। পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেনব নিরোশান ডিকভেলা। তখন শ্রীলঙ্কার ৮ রানেই ৪ উইকেট নেই! স্কোরটা ২০-এ যেতেই পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সিরিবর্ধনেও। এবারও ঘাতক উসমান। পয়েন্টে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে নেন সিরিবর্ধনে। তবে সবশেষে পেরেরা সর্বোচ্চ ২৫ রানের ওপর ভর করে ১০৩ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা। এছাড়ার দলের উল্লেখযোগ্য ব্যাটসম্যানরা বিপদের দিনে কোনো কাজেই আসেনি।
ম্যাচটিতে পাকিস্তানের হয়ে উসমানের ৫ উইকেট ছাড়াও দুটি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন সাদাব খান ও হাসান আলী।
প্রসঙ্গত, মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেট পেলেন উসমান। তাও মাত্র ২১ বলের মধ্যে! ২০০১ সালের পর ওয়ানডেতে তার চেয়ে কম বলে ৫ উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র দুজন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চামিন্দা ভাস ১৬ বলে ও ২০১৩ সালে কানাডার বিপক্ষে ভান ডার গুগটেন ২০ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
গোনিউজ২৪/এআর
