তবুও নাসির ব্যাক আপ খেলোয়াড়!


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৬:০৮ পিএম
তবুও নাসির ব্যাক আপ খেলোয়াড়!

সর্বশেষ ২০১৫ সালের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ পর্যন্ত দলে নিয়মিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিনিসারম্যান খ্যাত নাসির হোসেন।  এরপর থেকেই সাইট বেঞ্চে বসে দুর্বিষহ সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। যদিও টাইগারদের আয়ারল্যান্ড ট্যুরে একটি ম্যাচে নামার সুযোগ হয়েছিল। তাও ছিলেন ব্যাটে-বলে ব্যর্থ। 

তবে সফরত অজিদের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে নাসির হোসেনের। মূলত দলের আরেক অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অনুপস্থিতিতেই কপাল খুলেছে তার।  কদিন আগেই অনুশীলন করতে গিয়ে চোখে ব্যাথা পেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। যদিও সে ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন । তার পরও তার বিপরীতে নাসিরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে নির্বাচক।  এছাড়া অস্ট্রেলিয়া দলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্যের কারণে একজন অফ স্পিনারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। নাসিরের আবার দুই বছর পর টেস্ট দলে ঢুকে পড়ার সেটিও অন্যতম এক কারণ। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচের ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার।

এদিকে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর শেরে বাংলায় নাসিরকে টানার ব্যাপারে হাথুরুর ব্যাখ্যা, ‘মোসাদ্দেকের চোখে একটা ইনজুরি আছে। যদি ও খেলতে না পারে তাই একজন বাড়তি অফ স্পিনিং অল রাউন্ডার দলে দরকার ছিল। তাই আমরা নাসিরকে দলে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলে অনেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকায় নাসিরই মূল্যবান খেলোয়াড় হতে পারে।’

এর আগে স্পিন দিয়ে ইংল্যান্ডকে কুপোকাত করেছিল বাংলাদেশ। সেবার একজন বাড়তি অফস্পিনিং অলরাউন্ডার দলে ছিলেন শুভাগত হোম। সে ধারায় এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাসিরকে দলে নিয়েছেন বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ‘নাসিরকে আমরা অন্যভাবে বিবেচনা করেছি। অস্ট্রেলিয়ার অনেকগুলো বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে। মিরাজের সঙ্গে অ্যাডিশনাল অফ স্পিন করতে পারে, ব্যাটিং করতে পারে সেটা আমরা চাচ্ছি। শেষ হোম সিরিজে যেটা শুভাগত হোম আমাদের হয়ে করেছে। সেই হিসেবে নাসির রয়েছে।’

ক্যারিয়ারে ১৭টি টেস্ট খেলেছেন নাসির। ২৮ ইনিংনে ৯৭১ রান, গড় ৩৭.৩৪। সেঞ্চুরি একটি, ফিফটি ৬টি। মাঝে টেস্টের পাশে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও অনেকটা চোখের আড়ালে ছিলেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও উপক্ষা করতে পারেননি নির্বঅচকরা। এবারের জাতীয় লিগে চার ম্যাচ খেলে ১০৯.৩৩ গড়ে ৩২৮ রান। যার মধ্যে রয়েছে দারুণ একটি ডাবল সেঞ্চুরি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ৮ ম্যাচে করেছেন ৪৮০ রান, গড় ২৪০।

গো নিউজ২৪/এআর

খেলা বিভাগের আরো খবর