সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও পোড়ায় মাশরাফিকে


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০১৭, ০৬:২৩ পিএম
সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও পোড়ায় মাশরাফিকে

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কাণ্ডারি মাশরাফি বিন মর্তুজা। বারবার ছুরি-কাঁচির নিচে বসেও দেশের কল্যাণে বুক চিতিয়ে লড়ছেন এখনো। জাতীয় দলের এই অধিনায়ক ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে। একটা সময় ওয়ানডে ফরম্যাট থেকেও সরে যেতে হবে তাকে। তবে ভক্তদের প্রত্যাশা ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যাবেন তাদের প্রাণ প্রিয় অধিনায়ক। অবশ্য মাশরাফিও এ ব্যাপারে কিছুই ভাবছেন না। 

গত ২০১১ বিশ্বকাপে আনফিটের অজুহাতে নির্বাচকদের দৃষ্টি সীমার বাইরে ছিলেন মাশরাফি। যাতে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় তার।  আর সে স্মৃতি এখনো পোড়ায় জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ককে। 

সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বলেন, ‘আমি যতোটুকু খেলাটাকে উপভোগ করবো ততটুকুই খেলবো। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবো কী না বা তার পরেও খেলবো কী না, এতো দূরের কথা কিছুই বলতে পারি না। বলিওনা, কারণ হল, ২০১১ বিশ্বকাপে এমন ঘটনা ঘটেছিল। তাই এসব নিয়ে কথা না বলাই ভাল।’

একটা সময় আসবে যখন শুধু মাশরাফি নন, অবসর নেবেন সাকিব-তামিম-মুশফিকদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররাও। তাদের অবর্তমানে দলের হাল ধরতে হবে এখনকার নবীন ক্রিকেটারদেরকেই।

মাশরাফি নিজেও বিষয়টি স্বীকার করে নিলেন। নতুন যারা দলে আসছেন তাদের ভেতরে যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন টাইগার দলপতি। তবে তাঁদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে বলে জানান তিনি। নতুনদের নিয়ে মাশরাফির ভাষ্য,

‘তারা সবাই ভালো খেলোয়াড়। এখন কথা হচ্ছে নিজেদেরকে ওরা কীভাবে তৈরি করবে, সেটা। ওদের ক্যারিয়ারের শুরুতে ওরা অনেক সফলতা পেয়েছে। তার মানে হচ্ছে এর থেকে আরো ভাল কিছু করার সামর্থ ওদের আছে। এখন দায়িত্বটা ওদেরই, নিজেদের আরো দায়িত্বশীল করে তোলা।’

বিশ্বের বেশীরভাগ খ্যতিমান ক্রিকেটারই অবসরের পরো ক্রিকেটের সাথে যুক্ত আছেন। মাশরাফির নিজের সেই ইচ্ছা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

‘এটা এখনই বলতে পারছি না। ক্রিকেটের সাথে থাকা না থাকা নিয়ে এখনো ভাবিনি। কারণ আমি যেভাবে থাকতে চাই সেভাবে থাকতে পারবো কী না জানি না। সময়ই বলে দেবে কী করবো,’ বলছিলেন বাংলাদেশ দলের এই প্রাণভোমরা।
গো নিউজ২৪/এআর

খেলা বিভাগের আরো খবর