এটা ইংল্যান্ডের জন্য বড় লজ্জা!


প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৭, ০৯:৩২ পিএম
এটা ইংল্যান্ডের জন্য বড় লজ্জা!

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। লর্ডসে আজ শেষ ম্যাচটি তাই ‘ডেড রাবার’।

সিরিজের অর্থহীন এই ম্যাচে তাই বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। সেটাই যেন ‘কাল’ হয়ে দাঁড়াল।আগে ব্যাট করতে নেমে যে ২০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছে ইংলিশরা। ওয়ানডেতে এত কম রানে আগে কখনো প্রথম ৬ উইকেট হারায়নি ইংল্যান্ড!

লর্ডসে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আগের ম্যাচ থেকে বেন স্টোকস, মঈন আলীসহ পাঁচ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছে স্বাগতিকরা। 

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জেসন রয়ের উইকেট হারায় ইংলিশরা। পঞ্চম বলে রয়কে স্লিপে হাশিম আমলার ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন কাগিসো রাবাদা।

পরের ওভারেই জো রুটকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আরেক পেসার ওয়েইন পারনেল। নিজের পরের ওভারে এসে অধিনায়ক এউইন মরগানকেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কককে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক।

৫ম ওভারে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন রাবাদা। প্রোটিয়া পেসার এই ওভারেই তুলে নেন ৩ উইকেট! প্রথম বলে আমলাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। ৫ম ও ষষ্ঠ, পরপর দুই বলে আউট হয়ে ফেরেন জস বাটলার ও আদিল রশিদ। তখন ৫ ওভারে ২০ রানেই ৬ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের! দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি কেউই। এর আগে ১৯৭৫ সালে লিডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম ২৫ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংলিশরা।  

আগের ওভারে শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রাবাদা। তার পরের ওভারে হ্যাটট্রিক বলটি অবশ্য নিরাপদে ঠেকিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো। 

হ্যাটট্রিক না হলেও প্রোটিয়া পেসার ইংল্যান্ডকে যেভাবে কাঁপিয়ে দিয়েছেন, তাতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এড়ানোই ইংলিশদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান ৮৬, ২০০১ সালে ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

গো নিউজ ২৪/ এস কে 

খেলা বিভাগের আরো খবর