সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে যে দলটি


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৭, ১০:০৪ এএম
সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে যে দলটি

দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ১ জুন থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শুরু হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। ৮ দেশের এই উত্তেজনাকর লড়াইয়ের আগে কোন দলের কী অবস্থা, তা নিয়েই আমাদের বিশেষ আয়োজন। আজ থাকছে পাকিস্তানকে নিয়ে-তাদের নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না একেবারেই। 

জিততে থাকা ম্যাচ যেমন হেরে বসতে পারে, তেমনি আবার নিশ্চিত হারের ম্যাচও বের করে নিয়ে আসার অসম্ভব ক্ষমতা রাখে পাকিস্তান। নামের পাশে তাই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমাটা সেঁটে গেছে অনেক আগেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেও তাদের নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। হিসাবে ‘আন্ডারডগ’, তবে হিসাব পাল্টে ক্রিকেট বিশ্বকে তাকও লাগিয়ে দিতে পারে তারা।

আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের ফেভারিটের খাতায় খুব বেশি রাখা হয় না। তা ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ কিংবা ২০০৯ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টি জেতা আসরেও তারা ছিল ‘আন্ডারডগ’। অথচ হিসাবের খাতা উল্টিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে জিতে নেয় শিরোপা। আবার এই পাকিস্তানই ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে গিয়েছিল দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে, অথচ ফিরেছিল রানার্স আপ হয়ে। সময়ের পালা বদলে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটা জুড়ে থাকলেও বদলে গেছে অনেক কিছু। রঙ হারিয়ে বিবর্ণ পাকিস্তানের ক্রিকেটে তারকা খেলোয়াড়ের বড় অভাব। যে দুজন ছিলেন, সেই ইউনিস খান ও মিসবাহ-উল-হকও বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।

‘অনভিজ্ঞ’ এক দল নিয়েই নতুন মিশনে নামতে যাচ্ছেন নতুন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। বরাবরের মতো এবারও নেই তারা হিসাবের খাতায়। আর এটাই সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তানের জন্য। ইংল্যান্ডে টুর্নামেন্টে শুরুর আগে সেটাই বলে গিয়েছেন সরফরাজ। ২০০৯ সালে ইউনিস খানের নেতৃত্বে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ডে। সেই ইংল্যান্ডেই শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে অধরা শিরোপাটা মুঠোবন্দি করতে চায় তারা।

এ জন্য অবশ্য গ্রুপ পর্বেই পেরোতে হবে কঠিন পথ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপেই দেখা হয়ে যাচ্ছে তাদের। সঙ্গে আছে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা ও তাদের মতোই ‘আন্ডারডগ’ শ্রীলঙ্কা।

গো নিউজ ২৪

খেলা বিভাগের আরো খবর