বাংলাদেশকে ১ হাজার কোটি টাকা দিবে আইসিসি!


স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০১৭, ০৫:১৭ পিএম
বাংলাদেশকে ১ হাজার কোটি টাকা দিবে আইসিসি!

সদ্য সমাপ্ত আইসিসির বোর্ড সভায় বড় দুটি পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। প্রথমত বিগ থ্রি এর বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে আইসিসি। অন্যদিকে লভ্যাংশ ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও এসেছে বড় পরিবর্তন। আগে যেখানে ভারত আইসিসির লভ্যাংশের বড় অংশ নিয়ে নিত সেটার বিরুদ্ধে মত দিয়েছে অন্যান্যরা। 

দুবাইয়ে ৫ দিনের এই লম্বা আলোচনা শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন আর্থিক মডেল পাস হয়। (২০১৬-২০২৩) আট বছরের জন্য এই আর্থিক মডেল তৈরী করা হয়েছে। ১৪ টি ভোটের মধ্যে ১৩ টি ভোট পেয়ে অনুমোদন পেয়েছে এই আর্থিক মডেল। শুধুমাত্র ভারত এই মডেলের বিপক্ষে ছিল।

তাতে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ড। নতুন অর্থ কাঠামোয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির লভ্যাংশের ১৩২ মিলিয়ন ডলার পাবে। 

বাংলাদেশ পাবে ১৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যার বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। টেস্ট খেলুড়ে বাকি ৬ দল- অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজও আট বছরে একই পরিমাণ (১৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলার) অর্থ পাবে।

জিম্বাবুয়ে পাবে ৯৪ মিলিয়ন ডলার।ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১৪৩ মিলিয়ন। আর সবচেয়ে বেশি পাবে ভারত- ২৯৩ মিলিয়ন ডলার। অন্যান্য সহযোগী দেশগুলো সবাই মিলে পাবে ২৮০ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির নতুন এই মডেলকে স্বাগত জানিয়েছে। বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এটা বিজয়’।

কিন্তু ভারত এই প্রস্তাব মানতে রাজি নয়। তারা চায় ৫৭০ মিলিয়ন ডলার। সেক্ষেত্রে অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর ভাগে তেমন কিছুই পড়ে না। বাকিদের ভাগ ঠিকঠাক আছে। ৫৭০ মিলিয়ন ডলার না পেলেও ভারত কিন্তু সবার থেকে বেশিই পাচ্ছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে ডাবল! বিষয়টি কিন্তু বাংলাদেশসহ অন্যান্যরা মেনে নিয়েছে। শুধু মানতে পারেনি ভারত।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘টাকা এখনও ভারত বেশি পাচ্ছে। আমরা ১৩২ মিলিয়ন আর ওরা ২৯৩ পাবে। এটা তো আমরা মেনেই নিচ্ছি। মেজর রেভিনিউ যেহেতু ভারত থেকে আসছে, ওরা একটু বেশি চাইতেই পারে। ইংল্যান্ড পাচ্ছে ১৪৩, আমরা ১৩২। আমাদের চেয়ে একটু বেশি তো পাচ্ছেই। ইংল্যান্ড ও ভারত থেকে যেহেতু বেশি রেভিনিউ আসে- আমাদের আপত্তি নাই। অন্যদের সাথে দেখতে হবে। 

আগে একটা ধারণা ছিল বাংলাদেশ থেকে কোনো রেভিনিউ জেনারেট হয় না, এখানে মার্কেট নেই। আমি তো দেখি, অনেক দেশের চেয়ে এখন বাংলাদেশে বেশি রেভিনিউ হচ্ছে। বিদেশে গিয়ে উল্টো স্পন্সর করছে বাংলাদেশি কোম্পানি। মার্কেট পরিবর্তন হয়েছে। আমি বললাম, তোমারা মার্কেট পুর্নমূল্যায়ন কর। এটা তো তোমাদের পুরানো ডাটা। পারসপেক্টিভ পরিবর্তন হয়েছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা এখন অনেক ভালো। সভায় আমরা যে অর্থ কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছি ভারত যদি আমাদের অংশ না কমিয়ে কোনো পাল্টা প্রস্তাব দিতে পারে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব ও তাদের সমর্থন দিব। 

তবে তাতে যেন আমাদের ভাগ না কমে। আমরা আগে পেতাম ৬৭ মিলিয়ন ডলার, এখন পাব ১৩২ মিলিয়ন ডলার। বছর হিসেবে দেখলে প্রতি বছর সাড়ে ১৬ মিলিয়ন ডলার পাব। আগের চেয়ে প্রায় ডাবল। এই অবস্থান থেকে আমরা সরবো না। ’

 

গো নিউজ২৪/এএইচ

খেলা বিভাগের আরো খবর