ইতিহাসের সেরা পাঁচ আম্পায়ার


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০১৬, ০২:৩০ পিএম
ইতিহাসের সেরা পাঁচ আম্পায়ার

ক্রিকেটে এ পর্যন্ত অনেকে আম্পায়ারিং করতে এসেছেন। ভালো করেছেন, আবার কেউ কেউ ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে বিতর্কিতও হয়েছেন। ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা পাঁচ আম্পায়ার দেখে নিন:

১. ইয়ান গোল্ড : 
১৯৫৭ সালের ১৯ আগস্ট ইংল্যান্ডে ইয়ান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বচ্চ আম্পায়ার হিসেবে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক হিসেবেও ইংল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আরো মজার ব্যাপার হলো, ইয়ান গোল্ডের ফুটবলের সঙ্গেও সখ্যতা ছিল! বিখ্যাত ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের গোলকিপার হয়ে খেলেছেন। সেখানেই তার ডাক নাম ছিল গানার।

তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে তার টেস্ট ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেন। আর ২০০৬ সালের শুরুর দিকে ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলংকা ম্যাচ দিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। আম্পায়ার হিসেবে গোল্ড সুনামও কুড়িয়েছেন। এই পর্যন্ত তিনি ৫৬টি টেস্ট, ১১৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ও ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। 

২. টনিহিল :
অ্যান্থনি লয়েড হিল সার্কিট নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৫১ সালের ২৬ জুন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মগতভাবে তিনি কিউই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে টনির ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ১৯৯৮ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ড বনাম জিম্বাবুয়ের একদিনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়।

আর ২০০১ সালে হ্যামিল্টনে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ দিয়ে টেস্টে তার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ৪০টি টেস্ট, ৯৬টি ওয়ানডে ও ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।

৩. ডেরেল হারপার :
ডেরেল জন হারপার ১৯৫১ সালের ২৩ অক্টোবর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া থেকে আম্পায়ারিং শুরু হয়, কিন্তু তার মতো এত সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার আর কারও ছিল না। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া তার টেস্ট আম্পায়ারিংয়ের ক্যারিয়ার শেষ হয় ২০১১ সালে।

২০১১ সালে তাকে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয় এই অভিযোগে যে, তার আম্পায়ারিংয়ের মান সব সময় খুব নিম্ন ছিল। ১৯৯৮ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ দিয়ে তার টেস্ট আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু হয়। আর ১৯৯৪ সালে একই মাঠে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু হয়। সব মিলিয়ে তিনি ৯৫টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে ও ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।

৪. স্টিভ বাকনার:
স্টিফেন অ্যান্থনি বাকনার বা স্টিভ বাকনার ছিলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ আম্পায়ারদের একজন। ৪৫ বছর বয়সে তিনি ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে আসেন। ১৯৮৯ সালে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দিয়ে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই বছর অ্যান্টিগায় একই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচের মাধ্যমে তার ওয়ানডে আম্পায়ারিং শুরু হয়। তিনিই প্রথম আম্পায়ার যিনি ২০০৫ সালে ১০০টি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার মাইলফলক স্পর্শ করেন। এরে আগে ডিকি বার্ডস ২০০২ সাল পর্যন্ত ৬৬টি টেস্ট পরিচালনা করে রেকর্ড করেছিলেন। 

৫. আলিমদার :
১৯৬৮ সালের ৬ জুন পাকিস্তানের পাঞ্জাবে আলিম দার জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালে গুজরানওয়ালায় পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে তার ওয়ানডে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু হয়। আর ২০০৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টেস্টে তার আম্পায়ারিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু হয়। টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তিনি সবচেয়ে কম বয়সে আইসিসির এলিট প্যানেলে ঢুকে যান।

তিনি ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে ধারাবাহিকভাবে আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জিতেছেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে তিনি তার সবচেয়ে নিখুঁত আম্পায়ারিংয়ের নজির স্থাপন করেন। কারণ ওই বিশ্বকাপে তার দেওয়া ১৫টি সিদ্ধান্ত রিভিউ সিস্টেমের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে স্বচ্চ আম্পায়ার আলিম দার। এই পর্যন্ত তিনি ১০৭টি টেস্ট, ১৮২টি ওয়ানডে ও ৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।

 

গোনিউজ২৪/এমএইচএস

খেলা বিভাগের আরো খবর