সেই চেলসিই এখন মরিনহোর দুঃখ


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৬, ০৬:৪৫ এএম
সেই চেলসিই এখন মরিনহোর দুঃখ

চেলসির বিপক্ষে গোল করলে শিশুর মতো উদযাপন করবেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন হোসে মরিনহো। কিন্তু রোববার সেই সুযোগ তো ফেলেনই না বরং স্ট্যামফোর্ডব্রীজ থেকে ৪-০ গোলের লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে ফিরেছে তার দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

মরিনহোর কোচিং ক্যারিয়ারেই এটা বড় ব্যবধানে হারা ম্যাচগুলোর একটি। এর আগে তার সবচেয়ে লজ্জাজনক হারটি ছিল ৫-০ ব্যবধানে। ২০১০ সালে নভেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনার কাছে হেরেছিলেন মরিনহো।

এমন পরাজয় ইউনাইটেডেরও সবচেয়ে বাজে হারগুলোর একটি। এর আগে ২০১১ সালের অক্টোবরে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৬-১ ব্যবধানে হারের পর এটাই সবচেয়ে লজ্জাজনক পরাজয়। আর ১৯৯৯ সালের পর এবারই প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪ কিংবা তারও বেশি ব্যবধানে হারের স্বাদ পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

চেলসি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর অনেক আশা নিয়েই প্রথমবার স্ট্যামফোর্ডব্রীজে ফিরেছিলেন হোসে মরিনহো। অথচ স্বরণীয় লজ্জার হার নিয়ে ফিরতে হলো স্পেশাল ওয়ানকে! রোববার এই কাজটা করতে ভূমিকা রেখেছেন চেলসির পেদ্রো, কাহিল, এবং কান্তে।

ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে প্রথম বল জড়ান পেদ্রো। প্রথমার্ধের ২১ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন গ্যারি কাহিল। বাকী দুটি গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬২ মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ড গোল করার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন এনগোলো কান্তে।

রোববার এর আগের ম্যাচে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারায় ম্যানচেস্টার সিটি। নাথান রেডমোন্ডের গোলে এদিন সাউদাম্পটন এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কেলেচি ইহেনাচো গোল করলে সমতায় ফিরে পেপ গার্দিওলার দল।

তবে পয়েন্ট হারালেও শীর্ষে অবস্থানন করছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৯ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। সমানসংখ্যক ম্যাচ থেকে সমান ২০ পয়েন্ট করে নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে আর্সেনাল ও লিভারপুল। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম থাকায় চেলসির অবস্থান প্রিমিয়ার লিগের চার নম্বরে।

গো নিউজ ২৪/ এস কে 

খেলা বিভাগের আরো খবর