কাকে, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রমাণ চাইলেন কাদের


নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২০, ০৪:৫১ পিএম
কাকে, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রমাণ চাইলেন কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদে বলেছেন, যারা এদেশের রাজনীতিতে রক্তপাত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তাদের মুখে গণতন্ত্র  ও মানবাধিকারের কথা বলা শোভা পায় না।

বিএনপি'র নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কাকে, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা বলুন। তথ্য-প্রমাণ দিন।’

তিনি আজ সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।

অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কোনও দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না। তাহলে বিএনপি সমর্থিত কোনও অপরাধী গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন? কেন সেটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করে তুলবেন? শেখ হাসিনার সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখে, রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। কিন্তু বিএনপির নজির আছে শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অকারণে গ্রেফতারের। দলটির চট্টগ্রামের নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা ও অপহরণের বিচার বিএনপি করেনি। কারণ তারা নিজেরাই তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশের মাটি বীরের বীরত্বগাঁথার। আবার বিশ্বাসঘাতকতারও নিকৃষ্ট নজির আছে। এখানে দেশপ্রেমের যেমন বিরল দৃষ্টান্ত, তেমনি ষড়যন্ত্রেরও গন্ধ রয়েছে। এদেশে কিছু ঘটার আগে বোঝা যায় না। হঠাৎ করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছে। ২১ আগস্ট বোমা হামলা করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এবং তারাই জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনা অন্যদিকে নিতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি দিয়েছিল। তাই আগস্ট হলেই আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে। কেননা ষড়যন্ত্রকারী-বিশ্বাসঘাতকদের প্রেত্মারা এখনও সক্রিয়। আছে তাদের ষড়যন্ত্রের নকশা। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা এখন তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ এরা এদেশের রাজনীতিতে রক্তঘাত, হত্যা এবং প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে। যারা মানবাধিকতারবিরোধী কর্মকাণ্ডে তাদের অতীতকে কলঙ্কিত করেছে তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা কিছুতেই শোভা পায় না।’ 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কাদের বলেন, ‘করোনা সংকেটর সার্বিক দিক বিবেচনা ও সামগ্রিক দিক বিশ্লেষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। ঘরে বন্দি থাকায় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। সরকার যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবে।’ সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

কোথাও কোথাও গণপরিবহনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এবং সমন্বয় করা ভাড়ার চেয়ে বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ কাজে নিয়োজিত বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা সরকারি নির্দেশনা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ঈদের সময় সতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কথা দিয়েও মালিক-শ্রমিকরা তা ভেঙে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে অনেকের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটিয়েছেন। অর্ধেক আসন খালি রাখার কথা থাকলেও মানেননি।’

গোনিউজ২৪

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর