খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৮:৩১ পিএম
খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা

জাতীয় সংসদে ৮ হাজার ২৩৮ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, যেসব কোম্পানী ঋণখেলাপি তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।

বাংলাদেশের সকল ব্যাংক/ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত সিআইবি ডাটাবেইজের ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য থেকে এসব কথা জানান মন্ত্রী। 

সংসদে দেয়া তথ্যানুযায়ী শীর্ষ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিমেক্স ফুটওয়্যার, ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস, রূপালী কম্পজিট লেদারওয়্যার লিমিটেড, রাইজিং স্টিল লিমিটেড, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (পিভিটি) লিমিটেড, এস এ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেড, সামনাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লি, অ্যালোকোট লিমিটেড, গ্যালাক্সি স্যুটওয়্যার এন্ড ইয়ার্ন ডাইং, বুলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড রয়েছে।

আহসানুল ইসলাম টিটুর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ত্রৈমাসিকের তথ্য অনুযায়ী ২৫টি ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ নিউ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তাদের গৃহীত ঋণের বকেয়া স্থিতির পরিমাণ এক হাজার ৬১৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। যা মোট ঋণের ০.১৬৬৬ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ নিজ ব্যাংক ব্যতীত অন্য ৫৫টি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাদের গৃহীত ঋণের উপস্থিতির পরিমাণ এক লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। যা ব্যাংকসমূহের মোট প্রদেয় ঋণের ১১.২১ শতাংশ।'

গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিগত এক বছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণের হার প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থ বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।

তিনি আরও জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর