শেখ হাসিনার প্রশ্ন, কে হবেন ঐক্যফ্রন্টের সরকার প্রধান


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৯:৫২ পিএম
শেখ হাসিনার প্রশ্ন, কে হবেন ঐক্যফ্রন্টের সরকার প্রধান

ঢাকা : ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে। তারা নাকি সরকার গঠন করবে। সরকারের প্রধান কে হবে সেটা কিন্তু আজ পর্যন্ত জাতির সামনে দেখাতে পারে নাই। একটা প্রশ্ন রেখে যাই, তাদের সরকার প্রধান কে হবে? এতিমের অর্থ আত্নসাৎকারী সে হবে? না ওই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানের হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত আসামী সে হবে? না ওই রাজাকার বাহিনী বা যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজা দিয়েছি তাদের কেউ হবে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দেশবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বেছে নিতে হবে তারা কাকে চায়? তারা কী ধরনের সরকার চায়? দেশের জনগণের ওপরেই আমি দায়িত্ব ছেড়েদিলাম।

সোমবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের আরও পাঁচটি বছর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ করতে আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতিবিদদের ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নাই। যারা বাংলাদেশ চায়নি তারা কীভাবে ভোট চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমার বিশ্বাস তারা সঠিক জায়গায় ভোট দিতে ভুল করবেন না।

বিরোধীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১০ বছরে আমরা যত পরিবর্তন এনেছি এই পরিবর্তনটা আবার অনেকের চোখে পড়ে না। যখন মানুষ ভালো থাকে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় তখন তারা বলে এটা নাকি স্বেচ্ছাচারিতা। স্বেচ্ছাচারিতা কীভাবে হয় আমার সেটা প্রশ্ন। স্বেচ্ছাচারিতার কী দেখল তারা? তাদের নির্বাচনী ইশেতেহারে দেখলাম ঘোষণা করেছে যে ১০ বছরের স্বেচ্ছাচারিতাকে নাকি পারিবর্তন করবে। তাহলে পরিবর্তন কী জঙ্গীবাদ সৃষ্টি, বাংলা ভাই ‍সৃষ্টি, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, আবার সন্ত্রাস, আবার সেই ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা, নির্বাচনের নামে প্রহসন, দেশের সমস্ত উন্নয়ন ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে সম্পূর্ণভাবে আবার অন্ধকরা যুগে নিয়ে যাওয়া। এই পরিবর্তন তারা করতে চান? ছিল তো ক্ষমতায়। ৪৭ বছর হল বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে। এর ৩৯ বছরই তারা ক্ষমতায় ছিল। কী দিয়েছে মানুষকে? মানুষ কিছু না পেলেও ওই বিএনপি জামায়াত জোট তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

ড. কামাল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন ‘আজকে যারা এক হয়েছে তারা কারা? একদিকে স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী। সেই যুদ্ধাপরাধীরা কীভাবে নমিনেশন পায়? কীভাবে তারা প্রার্থী হয়? যারা বাংলাদেশই চায়নি। আর তাদের দোসর কারা? আমাদের এই স্বনামধন্য যারা তত্ত্বকথা দিয়ে অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমি আর কারো নাম নিতে চাই না। কারণ এখন নামটা নিতে মনে হয় যেন নামই মুখে আনা উচিত না। আমার তাদের জন্য করুণা হয়। কারণ তারা দিকভ্রষ্ট। তাদের আর কোনো নীতি নাই। নীতিভ্রষ্ট। আর্দশহীন, নীতিভ্রষ্টরা দেশকে কিছু দিতে পারে না।

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর