মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে তারেকের এক প্রশ্ন


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৮, ০৫:০২ পিএম
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে তারেকের এক প্রশ্ন

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার রোববার সকালে শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সকাল নয়টার দিকে থেকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার শুরু হয়। 
শুরুর দিন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাতকারের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম সাক্ষাতকার দেন ওই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ইউনুস আলী নামের এক নেতা।

সাক্ষাতকারের শুরুতেই বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জানিয়েছেন, কোন নেতার কী অবদান, বিগত ১২ বছর কে কী করছেন, সে খবর দলের কাছে আছে। এরপরই প্রার্থীর কাছে প্রশ্ন করা হচ্ছে, এই ১২ বছর প্রার্থী সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের দ্বারা কী ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন? তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশে কীভাবে ছিলেন? এবং নিজে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন?

এরপর সাক্ষাতকারের জানতে চাওয়া হচ্ছে, এলাকায় প্রার্থীর অবস্থান কতটা শক্তিশালী। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটের লড়াইয়ে থাকতে পারবে কি না?

যেসব প্রার্থীর কর্মকাণ্ড, নিজ নিজ আসনে অবস্থা ভালো এবং মনোনয়ন পাওয়ার সব যোগ্যতা আছে, তখন ওই প্রার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবেন তো?

বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাতকার দিয়েছেন—এমন কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী ওই নেতারা বলছেন, মূলত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কথাটি জানতে চাইছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, সম্প্রতি একসঙ্গে বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের উদাহরণ টানা হয়েছে। তারেক রহমান ও বোর্ডের সদস্যরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন, ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত তিনি টিকে থাকতে পারবেন কি না। যুক্তি হিসেবে নেতারা বলছেন, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যে সিলেটে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক ও রাজশাহীর মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। এর মধ্যে আরিফুল হক জয় পেয়েছেন। আর বুলবুল একাই লড়াই করছেন। নেতারা বলছেন, বুলবুলের সঙ্গে স্থানীয় নেতারা মাঠে নামলে সেখানেও বিএনপি বিজয় পেতে পারত।

মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই নেতা বলেন, এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে। এখানে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। ভোটের মাঠে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, যারা নিজ নিজ এলাকায় বিরূপ পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে ভোটের মাঠে থাকতে পারবেন, ভোটারদের সঙ্গে থাকতে পারবেন, তাদেরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ তিনি বলেন, প্রার্থীদের নার্ভ কতটা শক্ত, প্রার্থীর জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীরা কতটা ত্যাগ শিকার করতে পারবেন, সেটা দেখা হচ্ছে।

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর