আগামী নির্বাচনে যেমন প্রার্থী খুঁজছে আ.লীগ


নিজেস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৮, ১১:৪০ এএম
আগামী নির্বাচনে যেমন প্রার্থী খুঁজছে আ.লীগ

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল। জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে মরিয়া শাসক দল আওয়ামী লীগ। অপর দিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিও আবার রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া। তাই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে প্রার্থী বাছাইয়ে। দুই দলেই চলছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ। প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও আরও যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করছে দুদলই।

এদিকে আগামী নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্তভাবে মাঠে নামার আগেই মনোনয়ন কাজ সেরে ফেলতে চায় দলটির হাইকমান্ড। নির্বাচনে জয়লাভ করতে প্রার্থী ঠিক করার সময় মনোনয়নপ্রত্যাশীর ৪টি গুণ আছে কিনা তা যাচাই করবে দলটি।

১. মনোনয়নপ্রত্যাশীর শুধু অর্থবিত্ত থাকলেই হবে না, তাকে এলাকায় জনপ্রিয় ও জনসম্পৃক্ত হতে হবে।

২. দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক।

৩. থাকতে হবে ব্যক্তিগত ইমেজ, দলের জন্য ত্যাগী হওয়া চাই, তাকে হতে হবে শিক্ষিত ও ভদ্র।

৪. সরকারি ও বেসরকারি এবং দলীয় জরিপে যিনি এগিয়ে থাকবেন তিনিই পাবেন দলীয় মনোনয়ন।

দলীয় সূত্রে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে-এটা অনেকটাই নিশ্চিত। সে কারণে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে প্রতিটি সংসদীয় আসনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেবে ক্ষমতাসীন দলটি। এ জন্য বর্তমান এমপি বা মন্ত্রিপরিষদে থাকা অনেক নেতাই মনোনয়ন থেকে বাদ পড়বেন।

বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এলাকার খোঁজখবর রাখেননি, ব্যক্তিস্বার্থে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করেছেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন, তাদের এবার নৌকায় তোলা হবে না। তাই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা এসব আসনে জনপ্রিয় মুখ খুঁজছেন। ইতিমধ্যে কয়েক দফা জরিপ সম্পন্ন করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটা টিমের বিভিন্ন সংস্থার এবং দলীয় জরিপে যার প্লাস পয়েন্টের পরিমাণ বেশি তিনিই যোগ্য। তাকেই দলীয় টিকিট দেওয়া হবে। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চ্যালেঞ্জের নির্বাচনে মুখ দেখে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা দলীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে এমপিদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কারও মুখ দেখে এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা জানান, অতীতের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এবার বড় চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে আবার ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কঠিন। অতীতে এমন ঘটেনি। তাই প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কমপক্ষে ৪টি গুণ থাকতেই হবে।

গো নিউজ২৪/এমআর

 

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর