বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৬:২৬ পিএম
বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার

ঢাকা : নেপালে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার আছে ও থাকবে বলে জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তার সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন। এরপর থেকেই তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন।

এ সময় তিনি এ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজন ও পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনা গোটা জাতিকে মর্মাহত করেছে। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। কোনো মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ আসলে অর্থের মাধ্যমে হয় না। প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং যথোপযুক্ত সাহায্য করবেন।

এখন পর্যন্ত যাদের মরদেহ শনাক্ত হয়নি তাদের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ডিএনএ পরীক্ষাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের লাশ দেশে ফেরত আনা হবে।

এদিকে নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের নাম উল্লেখ করে তার স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ যাবতীয় প্রয়োজনয়ি কাগজ-পত্র প্রদান করা হয়।

এর আগে নিহতদের কফিনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।  এরপর বিভিন্ন সংগঠন নিহতদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এর আগে সোমবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা সম্পন্ন হয়। ৫টার দিকে মরদেহগুলো সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাঁধে করে আর্মি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে। 

এর আগে ৪টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবতরণ করে মরদেহবাহী বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইট।

অতরণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহগুলো গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। 

বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী দুপুর সোয়া দুইটার দিকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি রওনা দেয়।

এর আগে সকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৩ বাংলাদেশির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহতদের স্বজন ছাড়াও সাংবাদিক, দূতাবাস ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানাজায় শরিক হন। এ সময় নেপাল সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

তারও আগে ভোরে নেপাল কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলো বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।

যেসব বাংলাদেশির লাশ ফিরছে, তারা হলেন- ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ, কেবিন ক্রু খাজা সাইফুল্লাহ, কেবিন ক্রু শারমিন আক্তার নাবিলা, যাত্রী অনিরুদ্ধ জামান, তাহিরা তানভীন শশী, উম্মে সালমা, মিনহাজ বিন নাসির, রাকিবুল হাসান, মতিউর রহমান, রফিক উজ জামান, এফএইচ প্রিয়ক, আখি মনি, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, আকতার বেগম, হাসান ইমাম, এসএম মাহমুদুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, সানজিদা হক, বিলকিস আরা, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, বেগম হারুন নাহার বিলকিস বানু ও মো. নুরুজ্জামান।

ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে যে তিনজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তারা হলেন- আলিফউজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম ও পিয়াস রয়।

গত ১২ মার্চ সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় ৫১জন নিহত হয়। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।

 

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর