নিয়াজুলকে মারপিট না করলে সংঘর্ষ হতো না : শামীম ওসমান


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০১৮, ১০:০৯ পিএম
নিয়াজুলকে মারপিট না করলে সংঘর্ষ হতো না : শামীম ওসমান

ঢাকা : নিয়াজুলকে মারপিট না করা হলে সংঘর্ষের ঘটনাই ঘটতো না বলে জানালেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি বলেন, রাজনীতির সঙ্গে নিয়াজুলের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। সে ব্যবসা করে। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে বিএনপির আমলে ক্রসফায়ারে নিহত সুইটের ভাই। আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী সুইটকে জেলখানা থেকে বের করে এনে র‌্যাবকে দিয়ে ক্রসফায়ার দিয়েছিল বিএনপি ক্যাডাররা।

শনিবার রাতে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাতকারে নিয়াজুলের বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

নিয়াজুলের পক্ষে সাফাই গেয়ে শামীম ওসমান বলেন, ঘটনার দিন সে গাড়ি নিয়ে আসছিল। জ্যাম ছিল বলে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আসছিল। তাকে পেয়েই অমানবিক নির্যাতন করা হলো। তিন বার ফেলে মারপিট করা হলো।

নিয়াজুল তো অস্ত্রধারী? অস্ত্র প্রদার্শনও করলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার অস্ত্র বৈধ। প্রদর্শন করলেও সে কিন্তু ফায়ার করেনি। বারবার মারপিট করা হলেও সে ফায়ার করেনি। ফুটেজে সবই আছে। সে মেয়রকে হত্যা করতে যায়নি। বরং নিয়াজুলকেই বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

নিয়াজুল আপনার পক্ষে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, অভিযোগ তো আরো অনেক। আমি বিশাল গডফাদার। বিশাল ফ্যাক্টর। তো একমাত্র নিয়াজুলকেই কেন পাঠালাম? তার পক্ষে আর কেউই থাকবে না? আমার পক্ষ থেকে গেলে তো ওর সঙ্গে আরও লোক থাকতো। একা কেন?

তিনি বলেন, প্রথমে আইভীর খুব কাছের লোক সুফিয়ান নিয়াজুলকে সরিয়ে দিয়ে রক্ষা করলো। এরপর আইভীর এক বোনের স্বামী তাকে উদ্ধার করতে এলো। এরপর বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা সুযোগের সদব্যবহার করলো। একা পেয়ে মেয়রের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়ার করলো। একে একে তিনবার মারা হলো নিয়াজুলকে।

নিয়াজুলের ভাগ্নে রক্ষা করতে গেলে তার মাথায়ও আঘাত করা হলো। তার ভাগ্নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। এ খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লো। বিএনপি’র আমলে ক্রসফায়ারে নিহত সুইটের ভাই নিয়াজুল, সঙ্গত কারণে সহমর্মিতা ছিল সাধারণের। সংঘর্ষটা ঠিক এখান থেকেই। নিয়াজুলকে মারপিট না করা হলে সংঘর্ষের ঘটনাই ঘটতো না।

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর