একজন চৌকশ ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের কথা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৮, ১০:০৯ এএম
একজন চৌকশ ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের কথা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর ছায়াসুনিবিড় নিভৃত জনপদ বাগবাড়ীর এক বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনায় বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তা অনুকরণীয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। 

মাত্র ১৭ বছর বয়সে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। বাহিনীতে সফলতার স্বাক্ষর, ৭১-এ মেজর হিসেবে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্বদান ও বীর উত্তম খেতাব- সব অর্জনই জিয়াউর রহমানকে বাহিনী ও দেশ-বিদেশে পরিচিতি দেয় চৌকশ ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা হিসেবে। 

তারপর ৭৫-এর ৭ নভেম্বর সিপাহী -জনতার বিপ্লবে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে আসা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হন ৭৭-এর ২১ এপ্রিল।

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাহসী ভূমিকায় বদলাতে শুরু করে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। প্রশংসিত হয় তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচি। দেশে ফিরিয়ে আনেন বহুদলীয় গণতন্ত্র।

মুক্তিযুদ্ধে তার নামে গড়ে ওঠা একটি স্বতন্ত্র সেক্টর জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়ে রণাঙ্গনে দুঃসাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

জিয়াউর রহমান শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে যোগ দেন সেসময়ের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বাঙালি জাতির সংকট মুহূর্তে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার কণ্ঠে ভেসে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী জনতার বিপ্লবের’ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানে শহীদ হন জিয়াউর রহমান।

গো নিউজ২৪/এবি

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর