ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার চাইলেন মেয়র আইভী


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০১৮, ০৮:৪৫ পিএম
ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার চাইলেন মেয়র আইভী

হামলার সময় প্রশাসনের নিস্ক্রীয় ভুমিকার কারণে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে এক ঘন্টা আমার উপর সশস্ত্র হামলা করা হলো। মঙ্গলবার বিকালে হামলা ও সংঘর্ষের পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাকে রক্ষা করার জন্য নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে মার খাচ্ছিল, এবং একে একে তারা আহত হচ্ছিল, আমি আহত হলাম। সাংবাদিক আহত হলো, অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আহত হলো অথচ পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করলো। এটা মেনে নেয়া যায় না। শুধু তাই নয়, এজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি. তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের মেয়র রাস্তার মার খাচ্ছে পুলিশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে। কাদের ঈশারায় প্রশাসন এমন ভুমিকা পালন করেছে। আমি ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার দাবি করছি।

আইভীর প্রেস বিফ্রিং শেষ হওয়ার সন্ধ্যা ৬টা দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান প্রেস ক্লাবে গিয়ে আইভীর সাথে দেখা করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে উঠেন উপস্থিত সবাই। এসময় তারা উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, রাস্তায় নিরব দাড়িয়ে তামাশা দেখেছেন, এখন কেন এসেছেন? চলে যান, আপনাদের সাথে কোন কথা বলবে না ‘আপা’। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রেসক্লাবের সভাপতির রুম থেকে বেরিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ‘হকার মুক্ত ফুটপাথ চাই’ স্লোগান ধরে লোকজন নিয়ে চাষাড়ার দিকে হেঁটে আসছিলেন সেলিনা হায়াত আইভী। এ সময় শামীম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াত আইভী। তার পায়ে ইটের আঘাত লেগেছে। এছাড়াও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন।

গোনিউজ২৪/কেআর

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর