যেভাবে সংঘর্ষে জড়ালেন মেয়র আইভী


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০১৮, ০৬:৩৫ পিএম
যেভাবে সংঘর্ষে জড়ালেন মেয়র আইভী

ফুটপাথে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর সাংসদ শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ‘হকার মুক্ত ফুটপাথ চাই’ স্লোগান ধরে লোকজন নিয়ে চাষাড়ার দিকে হেঁটে আসছিলেন সেলিনা হায়াত আইভী। এ সময় শামীম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াত আইভী। তার পায়ে ইটের আঘাত লেগেছে। সেখান থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল চাষাড়ায় পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকেরা পুলিশের কাছে জানতে চান, তারা কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পুলিশ জানায় অর্ডার নেই। তবে পাঁচটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আইভি বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। চাষাড়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানো নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন ইট পাটকেল ছোড়ে। এটা নিরস্ত্র লোকের সশস্ত্র হামলা। এ হামলায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

সিটি করপোরেশনে একমাত্র নারী মেয়র আইভী অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেন।

পুলিশের নীরব ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের মাঝখানে থেকে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। জানমালের নিরাপত্তার দিতে চেষ্টা করেছি।

মেয়র আইভী অভিযোগ করেছেন শামীম ওসমানের প্রতি আপনারা সহানুভূতিশীল ছিলেন—এর জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা।
গোনিউজ২৪/কেআর

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর