লালমনিরহাটে বিএনপি'র বিজয় র্যালিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় সাংবাদিক-পুলিশসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভাংচুর করেছে জেলা শ্রমিকদল অফিস। শনিবার সকাল ১১ টায় রেলওয়ে শ্রমিক দল কার্যালয়ের সামনে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে জেলা রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল অফিস থেকে জেলা বিএনপি একটি বিজয় র্যালি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা র্যালিতে বাধা দেন।
এরপরেও বিএনপির নেতাকর্মীরা র্যালি নিয়ে সড়কে উঠতে চাইলে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী ফের হামলা চালায়। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। শুরু হয় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জুয়েল ও প্রতিদিনের সংবাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সহকারি পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সুশান্ত কুমার সরকার, এসআই আলমগীরসহ অন্তত ১৩জন আহত হন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে শহর জুড়ে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপ্রিয় বিজয় র্যালিতে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। তারা হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
তবে বিএনপি'র অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপি'র এক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছড়েছে। ওই কর্মীকে খুঁজে না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল মাত্র।
এরপরেও যখন তারা মিছিল বের করে তখন তাদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তারা উল্টো হামলা করেছে। এতে তাদের কয়েজন কর্মী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
গোনিউজ২৪/কেআর
