অবশেষে ভাতিজা আসিফকে বহিষ্কার করলেন এরশাদ


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০১৭, ০৫:১৫ পিএম
অবশেষে ভাতিজা আসিফকে বহিষ্কার করলেন এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ভাতিজা ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসফিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত অমান্য করে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের যুগ্ম-মহাসচিব হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসফিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত অমান্য করাসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী হিসেবে হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ গৃহীত হয়। এরশাদের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় মিডিয়াকে এ তথ্য জানান। 

সুনীল শুভ রায় বলেন, আসিফকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সব ধরনের পদ ও পদবী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পার্টির কোনও সদস্য আসিফ শাহরিয়ারের পক্ষে তার নির্বাচনি কাজে অংশ নিলে তাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে নির্দেশনা জারি করেছেন এরশাদ। 

এর আগে দলীয় সিদ্বান্ত উপক্ষো করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর কারণে ও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য ভাতিজা আসিফকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এরশাদ। নির্দেশ অমান্য করলে জাতীয় পার্টির সব পদ ও পদবি থেকে তাকে বহিষ্কারের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আসিফ তার বড়আব্বা এরশাদের নিদের্শ ও সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনী মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। 

দল তাকে বহিষ্কার না করায় বিস্ময় করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দল বহিষ্কার না তিনি নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করবেন। আসিফের এই ঘোষণার ৫ দিন পার না হতেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন। আসিফের এই বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে জিএম কাদের ছাড়া রংপুরে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে পরিবারের আর কেউ থাকলো না। 

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রংপুর মহানগর জাপার সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ হাতী প্রতীক নিয়ে নির্বাচন অংশ নিয়েছেন। 

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ৬৫ জন এবং ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের ২১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১’শ ৭৭টি গোপন কক্ষে ভোট প্রদান করবেন ভোটাররা।

এবার রংপুর সিটিতে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪২১ ভোটার রয়েছেন। যা গত নির্বাচনের চেয়ে ৩৬ হাজার ভোটার বেশী। এরআগে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়েছিল। নির্দলীয় ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রথম নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা 

গো নিউজ২৪/এবি

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর