নাগরিক অগ্রাধিকার সংলাপে হেভিওয়েট তিন মেয়র প্রার্থী


ফরহাদুজ্জামান ফারুক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৭, ০৬:১৬ পিএম
নাগরিক অগ্রাধিকার সংলাপে হেভিওয়েট তিন মেয়র প্রার্থী

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনকে সংলাপে নাগরিক অগ্রাধিকার শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মানসম্মত আধুনিক গ্রীণ মহানগর গড়তে যা যা করা দরকার তাই করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। আওয়ামী লীগ মনোনীত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর দাবী সিটি করপোরেশনে কাংখিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ম্যাজিষ্ট্রেটি ক্ষমতা প্রয়োজন দিতে হবে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ না হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন বিএনপির কাওছার জামান বাবলা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের স্থানীয় একটি কনভেনশন সেন্টারে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন লাঙ্গল, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া তিন হেভিওয়েট প্রার্থী।

সংলাপ অনুষ্ঠানে ডেমোক্রোসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) এর চীফ অব পার্টি কেটি ক্রোক স্বাগত বক্তৃতা করেন। এরপর ডিআই এর উপ-পরিচালক আমিনুল এহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল বক্তা ছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু এবং কাওছার জামান বাবলা।

সংলাপে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘একটি আধুনিক মানসম্মত মহানগর গড়তে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জনগনের সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করতে হবে। কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে একটি গ্রীন সিটি গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। এসময় তিনি বলেন, আমি যদি মেয়র নাও হই, যিনি মেয়র হবেন, যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের পাশে থেকে রংপুরের উন্নয়নে সহযোগিতা করবো।

অন্যদিকে সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু বলেন, সিটি করপোরেশনে ম্যাজিষ্ট্রেটি ক্ষমতা দিতে হবে। যে ক্ষমতা দেয়া আছে। এই ক্ষমতা দিয়ে কিছু করা যায় না। ফলে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হয়। সাবেক এই মেয়র বলেন, রংপুরের রাস্তাঘাট ড্রেন একদিনের সমস্যা নয়। সৃষ্টি লগ্ন থেকেই এই সমস্যা চলে আসছে। এই সমস্যা সমাধানে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এসময় ঝন্টু বলেন, শ্যামা সুন্দরী খাল দখলমুক্ত করে দুই পাশে রাস্তা তৈরি এবং উড়াল সেতু তৈরি করা গেলে রংপুর মহানগরীর চিত্রই বদলে যাবে।

সংলাপে বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যত নির্বাচন হয়েছে। তা সুষ্ঠু ও অবাধ হয় নি। সে কারনে এই নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শংকা আছে। সেই শংকা দূর করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মেয়র হলে নাগরিক সচেতনতা তৈরিই হবে আমার প্রধান কাজ। সকল ধরনের উন্নয়নে নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে আমি রংপুরকে একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মডেল নগরীতে পরিনত করতে চাই। এরপর সংলাপে উপস্থিত বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন উপস্থিত মেয়র প্রার্থীরা।

গোনিউজ২৪/কেআর

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর