আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এর আগে তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, গতকাল রাতে শুনলাম বিএনপির মহসচিব নাকি আজ সেখানে পরিদর্শনে যাবেন এবং এটাও খবর পেলাম একই বিমানে আসছি। ভাল কথা, মনে করলাম দু’জনে দেখা হবে এবং মুখোমুখি হবো, দু’টি কথা ও কুশল বিনিময় হবে দু’জনের। ভাবলাম এটা রাজনীতির জন্য ভাল লক্ষণ, তারা যে ভাবে নেতীবাচক রাজনীতি করছেন একটা ইতিবাচক ধারা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেন, আজকে একই বিমানে দুই দলের মহাসচিব আগমন কুশল বিনিময় রাজনীতিতে শুভ বার্তা বয়ে আনতে পারতো। কিন্তু সকাল বেলা বিমান বন্দরে এসে শুনলাম তিনি প্রোগ্রাম বাতিল করেছেন। ভাবলাম কি অপরাধ করলাম, এক সাথে দু’জনে আসলে কি অসুবিধা হবে তার। আমি কিন্তু ঠিকই এসেছি, প্রোগ্রাম বাতিল করিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে প্রাণে চেয়েছিলাম দু’জনে এক সাথে বিমানে থাকলে দু’টি কথা হবে। তারা সংলাপ সংলাপ করে সেই সংলাপ করার সুযোগ এখানেও ছিল। আকাশে অন্তত সংলাপের সূযোগ ছিল। কিন্তু শুনলা নিরাপত্তার অজুহাতে তিনি আমার সাথে আসননি। কে তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে তা কি কেউ বলতে পারেন। তিনি তো অন্য বিমানে সৈয়দপুরে আসলেন এবং তার গন্তব্যে চলে গেলেন।
রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হামলার ঘটনায় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা দূবিসন্ধী আছে, দেশে সাধারণ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই একটি মতলবী মহল ও স্বার্থন্বেষী মহল রাজনৈতিক অঙ্গণকে অস্থিতিশীল করতে হামলা চালাতে পারে।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, সেখানকার হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রশাসনিক ভাবে এবং দলীয় ভাবে আমরা সার্বক্ষনিক ভাবে বিষয়টি মনিটরিং করছি। এছাড়াও তদন্ত চলছে, তদন্তের পর সঠিক তথ্য জানা যাবে। ঘটনার পর থেকেই আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সেখানে আছেন এবং খোঁজখবর রাখছেন। আজ আমি স্বশরীরে সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছি।
বিমান বন্দরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বচান অনুষ্ঠিত হতে আর কয়েক মাস দেরী আছে। এরই মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এটি আমাদের জন্য সেমিফাইনাল। আপনারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকেন। আগামী বছরের ডিসেম্বরে ফাইনাল ম্যাচ হবে আপনারা প্রস্তুত থাকেন। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন।
এসময় তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোজ্জামেল হক, বিপ্লব বড়ুয়া, সুজিত রায়, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক প্রমুখ।
গোনিউজ২৪/কেআর
