মিনুকে টপকে হ্যাট্রিক করতে যাচ্ছেন বাদশা!


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০১৭, ০৪:১৬ পিএম
মিনুকে টপকে হ্যাট্রিক করতে যাচ্ছেন বাদশা!

হ্যাভিওয়েট নেতাদের ঘিরেই রাজশাহী সদর আসনে প্রার্থী বাছাই করা হয়। আগামী সিটি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এবার হ্যাভিওয়েট প্রার্থীদের ওপর প্রত্যাশার চাপটা বেশিই। একদিকে প্রেস্টিজ রক্ষা আরেকদিকে টিকে থাকার লড়াইয়ে বিজয়ী হতেই জনপ্রিয় নেতাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা। অন্যদিকে পট পরিবর্তন ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই প্রাণপণ লড়াই করার জন্য আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে অন্যতম রাজনৈতিক বিরোধপক্ষ বিএনপি ও তার মিত্ররা। এ বিচারে রাজশাহী সদর আসন কিংবা সিটিতে রাজনৈতিক লড়াই হবে মরণপণ। এ আসন নিয়ে হ্যাভিওয়েট নেতাদের নির্বাচিনী প্রস্তুতির খরব জানাচ্ছেন গোনিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও রাজশাহী অফিসের প্রধান ইলিয়াস আরাফাত

আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসন বাদশার অংশগ্রহণ অনেকটা নিশ্চিত। অপরদিকে বিএনপি থেকে সাবেক এমপি ও মেয়র এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছেন। তাই সদর আসনে গতবারের মতো এবারো মহাজোট ও জোটের লড়াই দেখা যেতে পারে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন পান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো নির্বাচিত হন ফজলে হোসেন বাদশা।

আগামী নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন ফজলে হোসেন বাদশা। আওয়ামী লীগ এখানে মহাজোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে পরিষ্কার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আগামী সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।

তবে, মহাজোট থেকে প্রার্থী দেয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দল থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এবার প্রার্থী পরিবর্তনের পক্ষে রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ। ইতোমধ্যেই প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি কেন্দ্রের নেতাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।

নগরের মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, বৃহত্তর রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সংসদ সদস্য হওয়া প্রয়োজন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে দলের অনেকেই চাইছেন তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক।

মিনু ও বাদশা

তবে ভিন্নমত নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবুর। তিনি বলেন, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালে রাজশাহী শহরের দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। এই শহরকে সাজাতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও একবার তার মেয়র হওয়া প্রয়োজন।

এমন মতামত যাই থাকুক, ইতোমধ্যেই মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠ গরম করতে শুরু করেছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাই আগের মতো মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে ফজলে হোসেন বাদশার নামটাই এগিয়ে থাকছে।

মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু বলেন, দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থেকে ফজলে হোসেন বাদশা সফলতার সঙ্গে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি মহাজোটের মনোনয়ন পাবেন। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি রাজশাহী-২ সদর আসনেই মনোনয়ন চাইবেন এবং পাবেন বলে মনে করেন দেবাশীষ রায় দেবু।

নগর বিএনপির একাধিক সূত্রমতে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। তাই মিজানুর রহমান মিনুর পথটাও অনেক পরিষ্কার। সংসদ নির্বাচনে মিনু সদরে মনোনয়ন চাইবেন বলেও দলের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সিটি ও সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দল প্রস্তুত। সিটি অথবা সংসদ নির্বাচনে দল যেখানে যাকে দিবে আমরা তা মেনে দলের হয়েই কাজ করবো।

গোনিউজ/এন

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর