কি আছে সাখাওয়াতের ইশতেহারে...


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬, ০৮:০৬ পিএম
কি আছে সাখাওয়াতের ইশতেহারে...

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নির্বাচিত হলে নগরবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৫টি লক্ষ্য তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। 

এতে জনগণের সমস্যা সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। নির্বাচনী ইশতেহার ভোটারের কাছে না পৌঁছে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোটারদের বিষয়টি অবগত করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের দুদিন আগে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।

সোমবার শহরের শায়েস্তা খান সড়কে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর বাসায় স্থাপিত মিডিয়া সেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব উন্নয়নের লক্ষ্যে সাখাওয়াত এসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সাখাওয়াতের ২৫টি উন্নয়নমূলক লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে-

১. সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার জন্য দলমত নির্বিশেষে সব ধর্ম, বর্ণ ও পেশার লোকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন।

২. স্বপ্নের শীতলক্ষ্যা সেতু বাস্তবায়ন করে বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ।

৩. ২নং রেলগেট ও চাষাঢ়ায় দুটি ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাস নির্মাণ করে নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করা।

৪. আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে এলাকার পঞ্চায়েত ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে প্রতিটি মহল্লায় কমিটি গঠন।

৫. জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন অন্তর্ভুক্ত বোট খাল, বোয়ালিয়া খাল, হিরালাল খাল এবং বন্দরের ৩৫টি খাল পুনরুদ্ধার ও খনন করা এবং মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা।

৬. শীতলক্ষ্যা নদী দূষণমুক্ত করে ভ্রমণপিপাসু ও চিত্ত বিনোদনকারীদের জন্য নদীর দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ।

৭. গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বাস, ট্রেন ও লঞ্চে হাফ ভাড়া চালু করা।

৮. নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৯ নারীদের জন্য নদীর দু’পাড়ে আধুনিক মাতৃসদন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া।

১০. সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ এবং বিদ্যুতের হয়রানিমূলক বিল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

১১. সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা এবং টিউবওয়েলের ওপর সব প্রকার কর রহিত করার ব্যবস্থা নেয়া।

১২. যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রোডে কম ভাড়ায় আধুনিক বাস সার্ভিস চালু করা।

১৩. প্রতিটি ওয়ার্ডে কম্পিউটার প্রযুক্তিসহ আধুনিক পাঠাগার ও শিক্ষার্থীদের জন্য আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।

১৪. আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা।

(১৫) খেলাধুলা বিকাশের জন্যে নদীর দুই পাড়ে দুটি আধুনিক স্টেডিয়াম স্থাপন।

১৬. অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে খাস জমি উদ্ধার করে, ভূমিহীন ও অল্প আয়ের মানুষের জন্য অত্যাধুনিক আবাসিক কলোনি নির্মাণ এবং স্থায়ীভাবে হকারদের পুনর্বাসন করে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা।

১৭. বেকার সমস্যা নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে বেকার যুবক ও যুবতীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

১৮. শ্রমিক ভাইবোনদের জন্যে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও বিনামূল্যে ওষুধসহ সকল প্রকার পরিক্ষা নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৯. মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সব প্রকার কর থেকে মুক্ত রাখা এবং সিটি কর্পোরেশনের অর্থে তাদের জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২০. হাজীগঞ্জ ও সোনাকান্দা কেল্লাকে নগরবাসীর জন্য আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা।
 
২১. প্রতিটি বাজারকে আবর্জনা ও কাদা মুক্ত রাখার জন্য আধুনিকরণ করা।

২২. হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্যে উদ্যোগ নেয়া।

২৩. সব বয়সের মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য নদীর দুই পাড়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্মলিত দুটি পার্ক নির্মাণ।

২৪. বন্দরের সোনাকান্দায় অবস্থিত মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়য়ে রূপান্তরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

২৫. শহরকে ধুলা-বালুসহ ময়লা-আবর্জনামুক্ত রাখার জন্য পরিবেশবান্ধব ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা।
 

 

গো নিউজ২৪/জা আ 

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর