সুইন্ডের ব্যাগ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার শনাক্ত


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৮, ০৯:১৯ পিএম
সুইন্ডের ব্যাগ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার শনাক্ত

ঢাকা : বাংলাদেশে বেড়াতে এসে কাঁদতে কাঁদতে নিজ দেশে ফেরত যাওয়া জার্মান তরুণীর ছিনতাই হওয়া ব্যাগ উদ্ধারে মাঠে নেমেছে পুলিশের বিশেষ একাধিক ইউনিট। ইতিমধ্যে ওই সড়কের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজ দেখে একটি সাদা প্রাইভেট কার শনাক্ত করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ভোরবেলায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ছিনতাইকারীরা তার ল্যাপটপের ব্যাগটি টান মেরে নিয়ে যায়। সব হারিয়ে শুক্রবার ভোরে কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা ছেড়েছেন সুইন্ডে।

যাওয়ার আগে এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন সুইন্ডে। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভোরবেলায় এলিফ্যান্ট রোডে নিজের অস্থায়ী আবাসে রিকশায় করে যাওয়ার সময় একটি সাদা গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি তার ব্যাকপ্যাকটি টান মেরে নিয়ে যায়। ওই ব্যাগে তার ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ক্রেডিট কার্ড এবং তার দুটি হার্ডডিস্কসহ অন্যান্য জিনিস ছিল।

ঘটনার পর সুইন্ডে তার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, একটি ঘটনা পুরো বাংলাদেশ ভ্রমণে অভিজ্ঞতাটি কালো মেঘে ঢেকে দিল। না, এটা (বাংলাদেশ) ভ্রমণের জন্য নিরাপদ নয়। একা ভ্রমণ না করাই ভালো।...আমি কেবল একটি কথাই বলতে পারি, দেখে-শুনে চলো, নিজের ক্ষেত্রে সাবধানে থেকো।...আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বাংলাদেশ ছাড়ছি।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তৎপর হয় পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শুভঙ্কর রায় শুভ বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুত ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারবো। এর আগেও এমন একটি ঘটনা তদন্ত করে আমরা অপরাধীদের গ্রেফতার করেছিলাম।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ছিনতাইকারীরা একটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করেছে। এসময় জার্মান তরুণী রিকশায় ছিলেন। ওই তরুণী অভিযোগ করার পর অপরাধীদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

প্রাইভেটকারে চালকসহ অন্তত তিনজন ছিনতাইকারী ছিল বলে পুলিশের ধারণা। গাড়িটির পেছনের জানালা থেকে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে সিটি কলেজের দিকে চলে যায়। ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধারণ হয়েছে। প্রাইভেটকারটি সাদা রঙয়ের। পুলিশ আশাবাদী শিগগিরই ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে তারা সক্ষম হবে।

গত জানুয়ারিতে ধানমন্ডির পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ফটোগ্রাফি কোর্স করতে ঢাকায় আসেন সুইন্ডে। তিনি চট্টগ্রামে জাহাজভাঙা শিল্প, সুন্দরবন, কুয়াকাটাসহ অনেক জায়গায় প্রচুর ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবিগুলো বিভিন্ন বন্ধুর কম্পিউটারে জমা ছিল। বুধবার রাতে শংকর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক বন্ধুর বাড়িতে অন্য বন্ধুসহ রাতে থেকে তিনি সব ছবি তার হার্ডডিস্কে স্থানান্তর করেন। ভোরবেলা এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের অস্থায়ী আবাসে ফিরতে তিনি একটি রিকশা ভাড়া করেন। রিকশাটি জিগাতলা পার হয়ে সীমান্ত স্কয়ারের ফটকে আসামাত্র একটি সাদা গাড়ি থেকে তার ব্যাগটি টান দিয়ে নিয়ে যায়। গাড়ির নম্বরপ্লেট বাংলায় থাকায় তিনি সেটি বুঝতে পারেননি। রিকশাচালকও সেটি খেয়াল করেননি। এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন সুইন্ডে।

 

গো নিউজ২৪/আই

এ সম্পর্কিত আরও সংবাদ


জাতীয় বিভাগের আরো খবর