সাদ্দাম হত্যার বিচার দাবীতে রাস্তায় তারকারা


বিনোদন প্রতিবেদক: প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০১৯, ০৮:৫৬ এএম
সাদ্দাম হত্যার বিচার দাবীতে রাস্তায় তারকারা

এফডিসির প্রোডাকশন বয় সাদ্দাম। ঈদ কাটাবেন গ্রামের বাড়িতে সেই উদ্দেশ্যে বরিশালের পথে রওনা হন। যাওয়ার পথে 'ফারহান-১০' লঞ্চে কয়েকজন লঞ্চকর্মীর সাথে সাদ্দামের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লঞ্চকর্মীরা সাদ্দামকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়।  

এই হত্যার অভিযোগে শোবিজের টেলিভিশন মিডিয়ার শিল্পী-নির্মাতা-কলাকুশলীর এবার রাজপথে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি বুধবার (১২ জুন) বিকেল ৪টার রাজধানী উত্তরায় রাজলক্ষ্মীর সামনে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার এসোসিয়েশন, অভিনয় শিল্পী সংঘ ও ডিরেক্টর গিল্ড-এর পক্ষ থেকে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। টিভি মিডিয়ার প্রায় সকল তারকা শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা এ মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। সাদ্দামের পরিবারের সদস্যরাও এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

মানবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু ও সেক্রেটারি এস এ হক অলিক। ছিলেন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, নির্মাতা মুস্তফা কামাল রাজ, রওনক ইকরাম, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, সাজু খাদেম, উর্মিলা, সাজু মুনতাসির, কচি খন্দকার, শিহাব শাহীন, মনিরা মিঠু, তানিয়া আহমেদ, রুনা খান, কাজী রোজি, শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, সনি রহমান প্রমুখ।

শিল্পীরা অভিযোগ করেন, সাদ্দাম তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাওয়ার পথে লঞ্চকর্মীরা তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়। ‘ফারহান-১০’ নামের একটি লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাদ্দাম। লঞ্চের কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হলে সাদ্দামকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।

নির্মাতা রাজ বলেন, এ ধরণের নেক্কার জনক ঘটনার বিচার চেয়েছি প্রশাসনের কাছে। পাশাপাশি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের প্রয়োজনে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

এর আগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা নদী থেকে এফডিসির শুটিং সহকারী সাদ্দাম হোসেন (২২)-এর মরদেহ বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর গ্রামের লোকজন প্রথম নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়, পরে ২ জুন পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মৃত সাদ্দাম হোসেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা গ্রামের মো. শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে ও ঢাকার এফডিসিতে শুটিং সহকারীর কাজ করতেন। ঈদ উদ্‌যাপনের পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া রুটের এমভি ফারহান-১০ লঞ্চে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাদ্দাম। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাদ্দামের ভগ্নিপতি মো. মাইনুল।

তিনি জানান, রাতে লঞ্চে বসে সাদ্দাম তাকে ফোন করে জানিয়েছে সে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। মুঠোফোনে ওই খবর পেয়ে তিনি সাদ্দামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বানারীপাড়ার মীরেরহাট লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করেন। কিন্তু সাদ্দাম আর আসেনি। তার মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। রবিবার কেদারপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে বাবুগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে তারা গিয়ে সাদ্দামের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।

গো নিউজ২৪/কাসা/আরআর

বিনোদন বিভাগের আরো খবর