গৃহবন্দী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হার্টে ৮টি ব্লক


বিনোদন প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মে ১৬, ২০১৮, ০৪:১৬ পিএম
গৃহবন্দী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হার্টে ৮টি ব্লক

হার্টের অসুখে আক্রান্ত গেল ছয় বছর ধরে গৃহবন্দী থাকা দেশের নন্দিত সংগীত পরিচালক ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার হার্টে মোট ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। শিগগিরই বাইপাস সার্জারি করাতে হবে তাকে। নিজের ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নিজেই জানালেন সেই কথা। ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে। সেই জের ধরে আততায়ীরা খুন করে বুলবুলের ছোট ভাই মিরাজকে। গৃহবন্দী আর ছোট ভাই হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে নিরবে নিভৃতে একমাত্র পুত্রকে নিয়ে দিনযাপন করছিলেন তিনি।

ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেন, ‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে সিসিইউতে চার দিন ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।’ ‘বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমি একজন।

হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু এই সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই মিরাজকে হত্যা করা হবে, তা কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।’

এসময় মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারি সাহায্য কিংবা শিল্পী, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট। শুধু অপারেশনের আগে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা আর কোরআন শরিফ রাখতে চাই।’

গোনিউজ২৪/এআরএম

বিনোদন বিভাগের আরো খবর