শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মান্নাকে স্মরণ


গো বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭, ০৭:৩২ পিএম
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মান্নাকে স্মরণ

ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অ্যাকশন হিরো মান্না প্রয়াত হয়েছেন ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি।এ নায়কের নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করেছে তার ভক্তরা। বেশকিছু জেলায় তাকে স্মরণ করে আয়োজন করা হয় মিলাদ মাহফিল ও স্মরণ সভার।

এদিকে শিল্পী সমিতি ও মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকেও তাকে স্মরণ করে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার সারাদিন বিভিন্ন চলচ্চিত্রগ্রুপও সরব ছিল মান্নাকে নিয়ে। মান্নার বিভিন্ন ছবির পোস্টার, সিনেমার ক্লিপ শেয়ার করে ভক্তরা স্মরণ করে মান্নাকে।

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। ১৯৮৪ সালে এফডিসি কর্তৃক আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি।মান্না চলচ্চিত্র জীবনের শুরুর দিকে ২য় নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন।এরপরে একক নায়ক হিসেবে পর্দায় আবির্ভাব ঘটলেও ছবিগুলো তেমন ব্যবসা সফল না হওয়ায় তাকে সইতে হয়েছে নানা বঞ্চনা। তবে সেই মান্নাই একসময় পরিণত হন ইন্ডাস্ট্রির প্রধান নায়কে। সেসময় মান্নার নামেই চলেছে সিনেমা। প্রযোজকরাও হয়েছেন লাভবান। 

মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে আবির্ভাব ঘটে মান্নার। ছবিটি ব্যবসাসফলও হয়েছিল। এরপর দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান-এর মতো ছবিগুলো মান্নাকে শক্তিশালী নায়কে পরিণত করে। চলচ্চিত্র জীবনে তিনি ২০০’র অধিক সিনেমায় অভিনয় করেন।

শুধু তাই নয়, অশ্লীলতার বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন মান্না। এ জন্য অশ্লীল চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও প্রযোজকদের কাছ থেকে হুমকিও পেয়েছিলেন তিনি। সেসব হুমকিকে তোয়াক্কা না করেই লড়ে গেছেন মান্না।

প্রযোজক হিসেবেও বেশকিছু ব্যবসা সফল ছবি উপহার দেন মান্না। এর মধ্যে লুটতরাজ, লাল বাদশা, আব্বাজান, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই ও পিতা মাতার আমানত উল্লেখযোগ্য।

মান্না শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেই পদে বহাল ছিলেন।

গোনিউজ২৪/এম

বিনোদন বিভাগের আরো খবর