ফেসবুক পোস্টের কারণে বরখাস্ত প্রাথমিক শিক্ষক


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২০, ০৮:৪৬ এএম
ফেসবুক পোস্টের কারণে বরখাস্ত প্রাথমিক শিক্ষক

ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্তকরণ প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য এবং অবজ্ঞা করে পোস্ট করেন ওই শিক্ষক।

বরখস্ত শিক্ষক তুষার চৌধুরী নেত্রকোনার বারহট্টা উপজেলার যশমাধব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি -৩(খ) অনুযায়ী এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করে নেত্রকোণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায় শিক্ষক তুষার চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি স্ট্যাটাসে কি আপত্তীকর কথা লিখেছিলেন জানতে চাইলে ডিপিও বলেন, ‘সে প্রশ্নের উত্তর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যার দিতে পারবেন। সচিব স্যারের নির্দেশনায় শিক্ষক তুষারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাকরিরত অবস্থায় অনুমতি না নিয়ে স্নাতক, সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে যারা সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি এখন থেকে তাদের এই সার্টিফিকেটগুলো সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এমন আদের জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষক নেতাদের অনুরোধে গত মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন এই সার্টিফিকেটগুলো সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্তকরণের আদেশ দেন।

শিক্ষকরা জানান, আগে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের অ্যান্ট্রি পদে নারীদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও পুরুষদের জন্য স্নাতক ডিগ্রি যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিল। এই পদে ৬০ শতাংশ শিক্ষকই আবার নারী। তাই নারী শিক্ষকের বড় অংশই উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এই চাকরিতে আসেন। পরে অনেকে ডিগ্রি ও মাস্টার্স করেন।

সহকারী শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ বিধি-২০১৯ অনুযায়ী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি। তাই স্নাতক হয়েও অনেক নারী শিক্ষক সরকারি কাগজে-কলমে এখনও উচ্চমাধ্যমিক পাস। এ কারণে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও এই শিক্ষকরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর