১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব কোচিং বন্ধ


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০১৯, ০৪:২৭ পিএম
১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব কোচিং বন্ধ

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ঘিরে ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর আটটি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। তার মধ্যে সাধারণ আটটি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৭৮ হাজার ৪৫১ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ পরীক্ষার্থী রয়েছে। সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ হাজার ৫৮০ কেন্দ্রে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা নকলমুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে আসতে দেরি করলে, তা কেন্দ্রের রেজিস্টারে নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিষয়টি কেন্দ্র সচিব অবশ্যই বোর্ডকে অবহিত করবেন।

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না এমন একটি মোবাইল ফোন শুধুমাত্র কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সচিব ব্যবহার করতে পারবেন।’

দীপু মনি বলেন, ‘প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি ট্রেজারি বা থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সকল সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রশ্নের প্যাকেট বিধি মোতাবেক খুলবেন।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। পরীক্ষার আগে ও পরে যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অঙ্কের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর বাংলা ভার্সনের জন্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ৯৫০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। ইংরেজি ভার্সন এর জন্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ৮৯২টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডের জন্যে ১৪টি বিষয়ের ২৭টি পত্রের জন্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্ন, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ২১০০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে।

গো নিউজ২৪/আই

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর