রাবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের বৈশাখী উৎসব বর্জনের ঘোষণা


নাজমুল মৃধা পাভেল, রাবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০১৮, ০৮:১৭ পিএম
রাবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের বৈশাখী উৎসব বর্জনের ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের পহেলা বৈশাখের সময় পরীক্ষা রাখায় তারা এবারের বৈশাখ উদযাপন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। 

বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসব বর্জনের এ ঘোষণা দেন বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও এতে সমর্থন দেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সকল প্রস্তুতি নেন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সকল প্রস্তুতি নেওয়ার দায়িত্ব ছিলো ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের। হঠাৎ করেই তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়েছে। সূচি অনুযায়ী ২৯ মার্চ থেকে তাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। পহেলা বৈশাখের দুইদিন আগে এবং পহেলা বৈশাখের পরের দিন পরীক্ষা রয়েছে। এতে বৈশাখী উৎসবে তাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পরীক্ষার সূচির প্রেক্ষিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য দশদিন পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য বিভাগের শিক্ষকদের নিকট অনুরোধ করা হয়। শিক্ষকরা ‘বৈশাখি উৎসব’ একাডেমির অংশ নয় বলে মন্তব্য করেন এবং পরীক্ষা সূচি অনুযায়ী হবে বলে জানান। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে পরীক্ষার জন্য বৈশাখ উদযাপন বর্জন করেছে। 

এ ব্যাপারে চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার বলেন, ‘সাধারণত আমরা বৈশাখের এক সপ্তাহ আগে ও এক সপ্তাহ পরে কোনো পরীক্ষা রাখি না। তবে ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সেশন জটে পড়েছে বিধায় তাদের পরীক্ষা শুরু হওয়াটা জরুরী। দ্রুত পরীক্ষার জন্য তারাই আন্দোলন করেছে। আমার মনে হয় ২৯ তারিখ পরীক্ষা শুরু হোক, এরপর একাডেমিক কমিটি ও পরীক্ষা কমিটি মিলে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়টি দেখা যাবে। কিন্তু এর জন্য বৈশাখ উৎসব বর্জনের ঘোষণা দেয়া একটু কটু দেখায়।’ তবে শিক্ষার্থীরা তার কাছে দাবির বিষয়ে যায় নি বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনদিন ব্যাপী উৎসব হয়ে থাকে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। এটি আয়োজনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরাই।

 

গো নিউজ২৪/আই

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর