মামারা কেউ চিন্তা করিস না, আবার দেখা হবে!


জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৭, ০৭:৩২ পিএম
মামারা কেউ চিন্তা করিস না, আবার দেখা হবে!

বগুড়া: আদালতে হাজির করার সময় বেশ অসুস্থ মনে হচ্ছিল তুফান সরকারকে। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া যেন দাঁড়াতেই পারছিলেন না। অনেকেই ভাবছিলেন রিমান্ডে তার ওপর নির্যাতনের কারণেই এমনটা হতে পারে। 

কিন্তু না, ঘটনা ঘটলো উল্টো। আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় তাকে এমন মনে হলেও পরে পরিস্থিতি পাল্টে গেল। যেই রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার খবর পেলেন, তৎক্ষণাৎ একেবারে খাড়া হয়ে গেলেন।

মুহূর্তের মধ্যেই তাকে দেখা গেল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায়। ঠিক এই মুহূর্তে তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। ভ্যানে ওঠার সময় হঠাৎ করেই তুফান সরকার তার সহযোগিদের উদ্দেশে হাত নাড়লেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। বললেন, ‘মামারা কেউ চিন্তা করিস না, আবার দেখা হবে।’

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে এমন কথা বলেন তুফান সরকার। 

ওই সময় বগুড়ার বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ ও মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার মূলহোতা শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার ও নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির আরো পাঁচদিনের রিমান্ড করেছিল পুলিশ। একই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি তারা।

এ ঘটনার আগে তুফান সরকার ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আদালতের সামনে মানববন্ধন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার এবং এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন।

এরপর ২৮ জুলাই বিকেলে তারা ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে ২৮ জুলাই রাতেই তুফান ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুদিন পর ৩০ জুলাই ঢাকার সাভার ও পাবনা শহর থেকে তুফানের স্ত্রী আশা সরকার, কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার ওরফে রুমকি, তার মা রুমি বেগম, তুফানের দুই সহযোগী জিতু ও মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের বাদুড়তলায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারের বাবা জামিলুর রহমানকে।

গোনিউজ/এন

এ সম্পর্কিত আরও সংবাদ


অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর