ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোথায় পালাচ্ছিলেন তুফানের স্ত্রী?


গো নিউজ২৪ | স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৭, ০৮:০৯ পিএম
কোথায় পালাচ্ছিলেন তুফানের স্ত্রী?

টাকা দিলেই পুলিশের মুখ বন্ধ...

সাভার (ঢাকা): বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তাকে ও তার মাকে মাথা ন্যাড়া করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের মূল হোতা শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী আশা (২০) পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ।

তবে অনেকেই ধারণা করছেন একবার পালিয়ে গিয়ে কিছুদিন আত্মগোপনে থাকতে পারলে তারা সবকিছু ম্যানেজ করতে পারতেন। এমন আশা নিয়েই তুফানের স্ত্রী তার সহযোগীদের নিয়ে বগুড়া ছেড়ে যাচ্ছিলেন।

বগুড়ায় ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের মূল হোতা তুফান সরকারের সঙ্গে সমানভাবে উচ্চারিত হচ্ছে তার স্ত্রী আশার বড় বোন মার্জিয়া হাসান রুমকির নামও। যিনি একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে বিচারের কথা বলে মা ও মেয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন।

নির্যাতিতা ছাত্রীর ভাষায়, ‘ওরা আমার ইজ্জতও কেড়ে নিলো, আবার শালিসের নামে আমার ও আমার মার মাথা ন্যাড়া করে দিলো। এর ওপর রুমকি আপা (তুফানের স্ত্রীর বোন) বলেছেন, তোদের মারলে আমার কিছু হবে না। আমি তিনটি ওয়ার্ডের কমিশনার। পুলিশকে টাকা খাওয়াইলেই মামলা ডিসমিস হয়ে যাবে।’

বগুড়া ডিবিতে মুখঢাকা আশা

একদিকে কাউন্সিলর ‘রুমকি আপার’ অসীম ক্ষমতা-প্রভাব অন্যদিকে স্বামী তুফান সরকারের দাপটের কারণেই আশার মনে আশা জেগেছিল একবার পালিয়ে গেলেই আর কে ধরে? পুলিশের হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিলেই মামলা তো ডিসমিস!

এমন বিশ্বাস বুকে ধারণ করেই রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় বগুড়া থেকে একটি প্রাইভেটকারে করে তুফানের স্ত্রী আশা তার গাড়িচালক ও সহযোগীদের নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকার দিকে রওনা দেন। কিন্তু বিধি বাম!

রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরে তারা পুলিশের জালে পড়ে যায়। তবে অনেকেই বলছেন, পুলিশের এ জাল তারা ছিঁড়ে ফেলবেই। কেননা, এমন ঘটনা শুধু এই প্রথম নয়, এর আগেও তারা ঘটিয়েছে। সেই গতানুগতিক নিয়মেই বেঁচে গেছেন। আর এতো অপরাধ করেও যারা পার পেয়ে যায় তারা বড় বড় অপরাধ করতেই অনুপ্রাণিত হয়।

ধরা পড়ার পর মুখ কালো আশা..

তুফানের স্ত্রীর মধ্যে তাই কোনো অনুশোচনা কিংবা অপরাধবোধ নেই। হয়তো তাই বিশ্বাস নিয়েই পালিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকায় তাদের মতোই প্রভাবশালী কারো আশ্রয়ে।

গত ১৭ জুলাই বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার এবং এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। 

২৮ জুলাই বিকেলে তারা ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে ২৮ জুলাই রাতেই তুফান ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুদিন পর ৩০ জুলাই ঢাকার সাভার ও পাবনা শহর থেকে তুফানের স্ত্রী আশা সরকার, কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার ওরফে রুমকি, তার মা রুমি বেগম, তুফানের দুই সহযোগী জিতু ও মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের বাদুড়তলায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারের বাবা জামিলুর রহমানকে।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে ক্ষৌরকার জীবন রবী দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি গাবতলী উপজেলার সোনারায় গ্রামে।

গোনিউজ/এন  

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর
মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার