ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার সকালে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে তাদের বৈঠক হয়।
এ সময় সুষমা স্বরাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে অভিবাদন জানান। একই সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) সভায় যোগ দেন তারা।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অভিন্ন নদীসহ তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার দ্রুত সমাধানের অনুরোধ করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুষমা স্বরাজ তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশকে আশ্বাস দেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চার দফায় রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৈঠকে সুষমা স্বরাজ জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে পাঠাতে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে ভারত। এছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে উভয় মন্ত্রীই জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন অনেক বিস্তৃত হয়েছে এবং নতুন ক্ষেত্র হিসেবে মহাকাশ, পরমাণু প্রযুক্তি, তথ্য-প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক যোগ করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, পরিবহন, কানেক্টিভিটি, সংস্কৃতি, মানুষে মানুষে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভা শেষে দু'দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন ড. মোমেন। এ সফরে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গো নিউজ২৪/আই