কিম জং উন সিঙ্গাপুরে আসার পর থেকেই যেখানেই যাচ্ছেন, এ নারীও সেখানে যাচ্ছেন। কিম ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছায়ার মতো সবসময় পাশেপাশে থাকছেন এই নারী। কিন্তু তিনি কে?
না, তিনি উত্তর কোরিয়ার উচ্চপর্যায়ের কোনো কূটনীতিক নন। তিনি কিমের অনুবাদক ও দোভাষী। কিমের দোভাষী হিসেবে ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের স্বাক্ষী হয়ে রইলেন এই নারী। কিম-ট্রাম্প মুখোমুখি বৈঠকের সময় তারা ছাড়া শুধু তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ওই রুমে উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক এ বৈঠকের সাক্ষী হয়ে তিনিও ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বৈঠকের দিকে চেয়ে আছে বিশ্ববাসী। পরস্পরের হুমকি-ধমকির অবস্থান শেষে সরে এসে ঐতিহাসিক এক করমর্দন করেছেন তাঁরা। সিঙ্গাপুরের এক বিলাসবহুল হোটেলে মঙ্গলবার সকালে শেষ হয়েছে দুজনের একান্ত বৈঠক। সে বৈঠক শেষে দুজনকে হাসিমুখেই বের হতে দেখা গেছে। এটাকে ইতিবাচক সূচনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সকাল ১০টার কিছু আগে দুই নেতা সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলের লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বারান্দায় হাসিমুখে হাঁটতে থাকেন। সেখানকার উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তাঁরা।
বৈঠক কেমন হলো—ট্রাম্পকে এ প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিয়েছেন, খুব, খুবই ভালো এবং বারবার বলেছেন, তাঁদের দুজনের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই এর গতিপ্রকৃতি বোঝা যাবে।
অন্যদিকে কিম বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক তিনি, তবে তাতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম-জং উনের একান্ত বৈঠক শেষে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গো নিউজ২৪/এমআর