ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫৫ মিনিটে ভবনটির উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ‘বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন শেষে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বিশ্বভারতীর ৪৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, যা বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষাগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
নবনির্মিত এই ভবনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসভিত্তিক সংগ্রহশালার পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ভবনটির প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।
এরআগে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সফরসঙ্গীদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তি নিকেতনে যান।
বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য প্রফেসর সবুজ কলি সেন শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
এখান থেকে শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে জোড়াসাকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচ ডিলিট ডিগ্রি দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বর্ণপদক দেবেন। এরপর কলকাতায় ফিরে নেতাজী সুবাস বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা। সেদিনই দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
গো নিউজ২৪/আই