ভারতে বসবাসরত প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুলিমকে দেশছাড়া করতে নরেন্দ্র মোদি সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। এজন্য ভারত সরকার বিস্তারিত নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে বলেও বুধবার রাজ্যসভায় জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করা এই মুলিমদের বিতাড়ন পর্ব ধারাবাহিকভাবে চলবে।
রিজিজু এক লিখিত বিবৃতিতে আরো জানিয়েছেন, ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুসারে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিতাড়িত করা হবে। এজন্য কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলো টাস্ক ফোর্স গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। প্রতিটি জেলা ধরে অবৈধভাবে বসবাসকারী মুসলিমদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে ভারতে গিয়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ হাজার। সমুদ্রপথ ছাড়াও চীন ও বাংলাদেশ হয়ে রোহিঙ্গারা ভারতে প্রবেশ করে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। তাদের সঙ্গে দোসর হিসেবে আছে উগ্র বৌদ্ধরা। রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠি বিবেচনা করে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে বিনাশ করে দেয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার। তাদের ওপর নির্যাতনকে গণহত্যা বলেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে।
ভারতে শুধু জম্মুতেই সাড়ে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার বাস। বাংলাদেশেও তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হামলার জেরে ২০১২ সাল থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। মিয়ানমার সরকারও এই মুসলিমদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার নতুন নাগরিক নীতি চালু করলেও রোহিঙ্গাদের কার্যত কোনো দেশ নেই।
গো নিউজ২৪/ আরএস