আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব আনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম শিক্ষা দেয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো এই হুঁশিয়ারি দেন।
রি ইয়ংয়ের ওই বক্তব্যের পর এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আমাদের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন’। গত ৪ ও ২৮ জুলাই দুটি আইসিবিএমের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৫ আগস্ট) সেই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়ার রপ্তানি বাণিজ্যের রাশ টেনে ধরা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ার ৩০০ কোটি ডলার রপ্তানির মধ্যে ১০০ কোটি কমে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিষেধাজ্ঞার পর সোমবার (৭ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান অবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় আইসিবিএম পরীক্ষা একটি বৈধ পদক্ষেপ।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আমরা পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক রকেটের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আনব না।’ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রকে চরম শিক্ষা দেয়া হবে’ বলেও মন্তব্য করেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর সোমবারই জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠায় উত্তর কোরিয়া। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘উন্মাদ’ ও ‘বেপরোয়া’ আখ্যা দেয়া হয়েছে।
গো নিউজ২৪/ আরএস