সীমান্তে ভারত সেনা বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেছে চীন। হিমলায় অঞ্চলের এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চলমান উত্তেজনায় আবারো ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। শান্তি চাইলে যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের জন্যও বলেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
চীন-ভারত-ভুটানের মধ্যকার ত্রিদেশীয় ডোকালাম সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে। ৩০ বছর ধরে এ নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে আছে তারা। চীনারা ডোকালাম সীমান্তকে ‘ডোংলাং’ নামে আখ্যায়িত করে।
বৃহস্পতিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয়, শান্তি চাইলে ভারতকে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ডোকলাম সীমান্ত নিয়ে মূল বিরোধটি চীন এবং ভুটানের। আর এতে ভুটানকে সমর্থন দেয় ভারত সরকার।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঘটনার শুরু থেকে একমাস হয়ে গেছে। ভারত এখনো অবৈধভাবে চীনা ভূখণ্ডে ঢুকে রয়েছে। ওই অঞ্চলে তারা সড়ক সংস্কার করছে, খাদ্যদ্রব্য মজুদ করছে এবং বিপুল সেনাসমাবেশ ঘটাচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই শান্তির জন্য নয়।’ অবশ্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সেনাসমাবেশের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২০১২ সালের সীমান্ত সমঝোতা স্মারক অনুসারে চীনকে আলোচনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ভারত সবসময়ই বিশ্বাস করে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। দুই পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান খুঁজতে কূটনৈতিক চ্যানেলে আমরা চীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাবো।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে ডোকলাম সীমান্তে চীন একটি সড়ক নির্মাণ শুরু করলে এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয় ভুটানের সঙ্গে। থিম্ফুর অনুরোধে সেখানে সেনা পাঠায় ভারত সরকার। রাস্তা নির্মাণ নিয়ে চীনকে সতর্কতাও দেয় তারা। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই দেশের সেনারা ১৫০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করছে।
গো নিউজ২৪/ আরএস