ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কাতারের ওপর নজরদারিতে পশ্চিমা সহায়তা চায় আমিরাত


গো নিউজ২৪ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০১৭, ০৩:৩৬ পিএম আপডেট: জুন ১৭, ২০১৭, ০৯:৩৬ এএম
কাতারের ওপর নজরদারিতে পশ্চিমা সহায়তা চায় আমিরাত

কাতারের ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ বন্ধের বিষয় নিশ্চিত হতে পশ্চিমা দেশগুলোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, মিসর এবং বাহরাইন কাতারকে বিশ্বাস করে বলে লন্ডন সফররত আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গার্গাশ সাংবাদিকদের জানান।

কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে কূটনৈতিক সমর্থন জোরালো করতে লন্ডন সফরে আছেন এই আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ‘এটা আচরণ পরিবর্তনের প্রশ্ন। আমরা যদি কৌশলগতভাবে পরিষ্কার ইঙ্গিত পাই যে কাতার আচরণে পরিবর্তন আনছে এবং জঙ্গিদের অর্থায়ন বন্ধ করছে- তবে তা আলোচনার ভিত্তি হতে পারে।’

তবে এক্ষেত্রে একটি মনিটরিং সিস্টেমের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন গার্গাশ। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বিশ্বাস করি না। আমাদের আস্থার মাত্রা একেবারে শূন্য।’

এর আগে গত ৫ জুন মুসলিম ব্রাদারহুডসহ কিছু সংগঠনকে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর। যদিও আরব রাষ্ট্রগুলোর অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে দোহা। ওইসব দেশের বক্তব্য, ব্রাদারহুড ‘চরমপন্থি’ সংগঠন।

আরব দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, কাতার ইসলামপন্থিদের সহায়তার দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখিয়ে আসছে দেশগুলো। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। ব্রাদারহুড রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করে এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তাদের এই আদর্শকে হুমকি হিসেবে দেখে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো।

২০১২ সালে মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্রাদারহুড নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এলেও ২০১৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এরপর থেকে ব্রাদারহুড সমর্থকদের ওপর চালানো হয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নির্যাতন। এতে সমর্থন দেয় সৌদি সরকার।

আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ইসলামি রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড। অনেক দেশ এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাখলেও, অনেক দেশেই আবার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তারা। কোনও কোনও সরকারেও অংশীদার হিসেবে আছে। ব্রাদারহুড বর্তমানে বাহরাইন, মিসর, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিষিদ্ধ।

১৯২৮ সালে মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেন মুসলিম মনিষী এবং শিক্ষক হাসানুল বান্না। সার্বজনীন ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তিনি দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইসলামি মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্য ছিল তার। রাজনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্রাদারহুড তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চায়। তবে বিভিন্ন সময়ে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে দলটি তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। অনেকে এই দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা সংগঠন করেছেন। তাদের কেউ চরমপন্থার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কুয়েত এবং তুরস্ক এবং পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর
বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত সহজ করতে চালু হচ্ছে অন অ্যারাইভাল ভিসা

বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত সহজ করতে চালু হচ্ছে অন অ্যারাইভাল ভিসা

পাকিস্তানের নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা

পাকিস্তানের নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা

একসঙ্গে মরতে এসে সরে গেলেন প্রেমিকা, ট্রেনে কেটে প্রেমিকের মৃত্যু

একসঙ্গে মরতে এসে সরে গেলেন প্রেমিকা, ট্রেনে কেটে প্রেমিকের মৃত্যু

তোশাখানা কী, চাঞ্চল্যকর যে মামলায় স্ত্রীসহ ফেঁসে গেলেন ইমরান খান

তোশাখানা কী, চাঞ্চল্যকর যে মামলায় স্ত্রীসহ ফেঁসে গেলেন ইমরান খান

জাপানে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫টি ভূমিকম্পের আঘাত

জাপানে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫টি ভূমিকম্পের আঘাত

ডালিম দিয়ে তৈরি আফগানিস্তানের পানীয় বিশ্বজুড়ে আলোচনায়, কিনছে আমেরিকাও

ডালিম দিয়ে তৈরি আফগানিস্তানের পানীয় বিশ্বজুড়ে আলোচনায়, কিনছে আমেরিকাও